সাম্প্রদায়িক সহিংসতা: নোয়াখালীর কমলের জবানবন্দিতে ‘বুলুসহ ১৫ নেতার নাম’: পুলিশ

নোয়াখালীর চৌমুহনীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ‘উসকানি’ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ফয়সাল ইনাম কমলের ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দিতে ‘বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতার সম্পৃক্ততার তথ্য’ এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2021, 03:24 AM
Updated : 26 Oct 2021, 03:24 AM

জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কমলকে সোমবার রাতে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাঈদীন নাঁহীর আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

“জবানবন্দিতে ফয়সাল ইনাম কমল সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার উসকানিদাতা হিসেবে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি বরকত উল্লা বুলুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১৫ নেতার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।”

দুর্গাপূজার অষ্টমীতে কুমিল্লার একটি মণ্ডপে ‘কোরআন অবমাননার’ কথিত অভিযোগ তুলে সহিংসতা শুরুর পর তা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কক্সবাজার, ফেনী, রংপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।

১৫ অক্টোবর দশমীর দিন নোয়াখালীর চৌমুহনীতে কয়েকটি মন্দির ও মণ্ডপে দফায় দফায় হামলা-ভাংচুর হয়। সে সময় ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ একজনের মৃত্যুর খবর দেয় পুলিশ। পরদিন পুকুর থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নোয়াখালীর ঘটনায় মোট ২৬টি মামলা হয়; গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় ২০০ জনকে। এর মধ্যে ফয়সাল ইনাম কমলসহ বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে রোববার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজুল্লাহপুর গ্রামের আবু হানিফের ছেলে ফয়সাল ইনাম কমলকে (৩৯) ওই ঘটনার ‘অন্যতম উসকানিদাতা ও ইন্ধনদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ওই মামলায়।

আরও পড়ুন: