বুধবার নিজ সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম একথা জানান।
তিনি জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গামাটির নানুয়ার চরে অভিযান চালিয়ে নোয়াখালী জেলা যুবদল সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয় বলে জানান এসপি শহীদুল।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, এই সাম্প্রদায়িক হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল এনাম কমল ও ইমরান হোসেন নিশানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মঞ্জুরুল আজিম সুমনের নাম উঠে আসে।
“ঘটনার আগে এবং ঘটনার দিন মঞ্জুরুল আজিম সুমন চৌমুহনীতে ছিলেন। ঘটনার আগে চৌমুহনী বাজারে তার ফ্লাওয়ার মিলে একাধিকার বৈঠক বসে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।”
তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং এ মামলা ছাড়াও অন্যান্য মামলায় তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আদালতে রিমান্ড আবেদন করবে বলে এসপি জানন।
দুর্গাপূজার সময় নোয়াখালীর চৌমুহনীতে মণ্ডপে হামলা-ভাংচুর ও দুটি হত্যার ঘটনায় দায়ের করা তিনটি মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, “সুষ্ঠু ও নিবিড় তদন্তের স্বার্থে আরও কিছু মামলা পর্যায়ক্রমে সিআইডি ও পিবিআইতে হস্তান্তর করা হবে।”
জেলায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৯টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।