মগবাজারের ভয়াল বিস্ফোরণস্থলের পাশের আরেকটি দোতলা ভবন হেলে পড়েছে; যেটিকে বিপদজনক ঘোষণা করে ভেতর থেকে লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়েছে।
Published : 29 Jun 2021, 03:04 PM
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল বাশার বলেন, “বিস্ফোরণস্থলের পূর্ব পাশের দোতলা ভবনটি হেলে পড়েছে বলে জানিয়েছে কারিগরি কমিটি।
“চোখে দেখেও বোঝা যায় ভবনটি একটি বিদ্যুতের পিলারের উপর হেলে রয়েছে। ভবনটিকে বিপদজনক ঘোষণা করে ভেতর থেকে লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়েছে।”
তিনি জানিয়েছেন, বিকেলের মধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠা ভবনটিকে ঘিরে ভ্রাম্যমাণ নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হবে।
একই সঙ্গে বিপদজনক ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেওয়া হবে।
কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর মালিককে ভবনটি ভেঙে ফেলতে বলা হবে।
এদিকে আতঙ্ক জাগানো এই বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় ‘অবহেলার’ অভিযোগ এনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে রমনা থানার এসআই রেজাউল করিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানান।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে মগবাজার ওয়্যারলেস গেইট এলাকা কেঁপে ওঠে। পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
ভয়াল ওই বিস্ফোরণে একটি তিন তলা ভবনের প্রায় পুরোটা ধসে পড়লে সাত জন নিহত ও অনেকে আহত হন।
এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন কয়েকজন।
বিস্ফোরণের ধাক্কায় রাস্তার উল্টো দিকে আড়ং, বিশাল সেন্টার, রাশমনো হাসনপাতালসহ আশপাশের ডজনখানেক ভবনের কাঁচ ভেঙে যায়।
তিন তলা ভবনটির অংশ বিশেষ এবং আশেপাশের ভবনের কাঁচ ভেঙে আহত হয় রাস্তায় থাকা অনেকে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তায় থাকা দুটি বাস। এর মধ্যে একটি বাসের চালক ঘটনার পরপরই মারা যান। আহত হন যাত্রীদের অনেকে।
ঘটনার পরপরই পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট এবং পিবিআই কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
ফায়ার সার্ভিস বলেছে, তিনতলা ওই ভবনে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছে।
সোমবার ধ্বংসস্তূপের বাতাস পরীক্ষা করে হাইড্রোকার্বন গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছেন বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে কেন, কীভাবে ওই বিস্ফোরণ ঘটল, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু কেউ বলেননি।
বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিস বিস্ফোরক অধিদপ্তর এবং পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন