মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনা অনুসন্ধানে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।
Published : 28 Jun 2021, 09:13 PM
কমিটির সদস্যদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামতসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) এর প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামানকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন একই ইউনিটের বোম্ব ডিসপোজাল শাখার অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ।
অন্য সদস্যরা হলেন- সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার, সিটিএসবির (পূর্ব) বিশেষ পুলিশ সুপার, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহ-অধিনায়ক ও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের উপপ্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মোহাম্মদ আয়ুব স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত এক পত্রে বলা হয়, বিস্ফোরণের ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে সুনির্দিষ্ট দায়-দায়িত্ব নিরূপণে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধান এবং এই ধরনের বিস্ফোরণ প্রতিরোধে সুপারিশ প্রণয়নে কমিটি বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের গঠিত কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।
সোমবার সকালে মগবাজারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ তদন্ত কমিটি করার কথা জানিয়েছিলেন।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে মগবাজার ওয়্যারলেস গেইট এলাকা কেঁপে ওঠে। পড়ে দেখা যায়, তিন তলা একটি ভবনের ধসে পড়ার মত দশা হয়েছে।
এতে সাত জন নিহত ও অনেকে আহত হন।
বিস্ফোরণের ধাক্কায় রাস্তার উল্টো দিকে আড়ং, বিশাল সেন্টার, রাশমনো হাসনপাতালসহ আশপাশের ডজনখানেক ভবনের কাঁচ ভেঙে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তায় থাকা দুটি বাস।
তিন তলা ওই ভবনের দোতলায় সিঙ্গারের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল। বিস্ফোরণে দেয়াল ভেঙে পণ্যের কার্টন বেরিয়ে পড়তে দেখা যায়।
নিচতলায় খাবারের দোকান শরমা হাউজ ও বেঙ্গল মিটের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল, যা মোটামুটি মিশে গেছে। লোহার গ্রিল, আসবাবপত্র, ভবনের বিভিন্ন অংশ ছিটকে এসেছে রাস্তায়।