মগবাজারে বিস্ফোরণ: ‘নাশকতা’ মনে করছেন না ডিএমপি কমিশনার

ঢাকার মগবাজার ওয়্যারলেস গেইটে ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের পেছনে নাশকতার কোনো সন্দেহ করছেন না ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2021, 05:31 PM
Updated : 28 June 2021, 04:02 AM

রোববার রাতে ওই বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, আউটার সার্কুলার রোডের ৭৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের পুরনো একটি তিনতলা ভবনে ‘গ্যাস জমে’ বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলে ফায়ার সর্ভিস তাকে ধারণা দিয়েছে। 

ফায়ার সার্ভিসের যারা কাজ করেছে, তাদের সাথে কথা বলে যেটা বুঝেছি যে, এখানে কিছু গ্যাস জমে ছিল এবং এই গ্যাস বিস্ফোরণের কারণে আশপাশের সাতটা বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দুইটা বাস বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ৫০ জনের উপরে আহত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা যেটা খবর পেয়েছি, সাতজন মারা গেছে।”

রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকায় রোববার সন্ধ্যায় ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে পাশের একটি ভবনে থাকা একটি ইলেক্ট্রনিক্স পন্যের শোরুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এর পেছনে নাশকতা আছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “না, আমার কাছে মনে হচ্ছে না। নাশকতা যদি হত, বোমা বিস্ফোরণ যদি হত, স্প্লিন্টারের আঘাতে মানুষ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যেত, আশপাশের গাড়িঘোড়া আপনারা দেখেছেন, বাস দেখেছেন, বাসে স্প্লিন্টারের কোনো আঘাত লাগেনি। কাজেই এটা বলা যায় যে এটা বোমার কোনো ঘটনা নয়, গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইনও গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ধারণার কথা সাংবাদিকদের বলেন।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় আশপাশের ডজনখানেক ভবনের কাচ চৌচির হয়ে ভেঙে পড়ে। সড়কে থাকা দুটি বাসও দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকায় রোববার সন্ধ্যায় ভয়াবহ এক বিস্ফোরণে সড়কে থাকা একটি বাস দুমড়ে মুচড়ে যায়।

পরে দেখা যায় আউটার সার্কুলার রোডের ৭৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের তিনতলা ভবনটির প্রায় ধসে পড়ার দশা হয়েছে।

ওই ভবনের দোতলায় সিঙ্গারের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল। নিচতলায় খাবারের দোকান শরমা হাউজ ও বেঙ্গল মিটের বিক্রয় কেন্দ্র ছিল, যা মিশে গেছে। লোহার গ্রিল, আসবাবপত্র, ভবনের বিভিন্ন অংশ ছিটকে এসেছে রাস্তায়।

সড়কের উপর দুটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়, ভেতরে যাত্রীদের রক্ত আর জিনসপত্র পড়ে ছিল।

সড়কের পাশের ওই ভবনের বিপরীত দিকেই আড়ং। বিস্ফোরণে আড়ং, পাশের বিশাল সেন্টারসহ ডজনখানেক ভবনের কাচ চৌচির হয়ে রাস্তায় পড়েছে।