পুরনো সংবাদ মুছে ফেলতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে চাপ প্রয়োগের নিন্দা জানিয়েছে ফরিদপুর প্রেস ক্লাব।
Published : 27 Feb 2021, 07:00 PM
শনিবার এক বিবৃতিতে ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খোকন বলেছেন, এই চাপ প্রয়োগ গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অপকৌশল।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ফরিদপুর প্রেস ক্লাব মনে করে, বঙ্গবন্ধুর এই সোনার বাংলায় দেশের গণমাধ্যম যখন সার্বিক উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই মূহূর্তে একটি ষড়যন্ত্রকারী ও প্রভাবশালী মহল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করা কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না।”
সাবেক সংসদ সদস্য ডা. এইচ বি এম ইকবালকে নিয়ে প্রকাশিত আদালত সংশ্লিষ্ট কিছু পুরনো প্রতিবেদন মুছে ফেলতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরে কয়েক ডজন উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে। বরিশালে মামলার আবেদনও হয়েছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ওই চাপের বিষয়গুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রিমিয়ার গ্রুপ অব কোম্পানিজের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবালের বিরুদ্ধে গত দেড় দশকে বিভিন্ন সময়ে যেসব মামলা হয়েছে, তার কার্যক্রম আর আদালতের আদেশ নিয়ে অন্য সব সংবাদমাধ্যমের মতো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেসব মামলা থেকে তারা অব্যাহতিও পেয়েছেন। এখন, এতদিন পর, সেসব পুরনো খবর মুছে ফেলতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে অদ্ভূত কায়দায় চাপ দেওয়া হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে তিন ডজনের বেশি উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ চার সম্পাদকের নামে। সেখানে বলা হচ্ছে, ওইসব প্রতিবেদন ‘ডিলিট’ না করলে মামলা করা হবে। মামলা হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আর মানহানির অভিযোগে। সব নোটিস মেলালে ক্ষতিপূরণ দাবির অংক দাঁড়ায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
ডা. এইচ বি এম ইকবাল নিজে কোনো নোটিস পাঠাননি। বিভিন্ন জেলা থেকে যারা নোটিস পাঠাচ্ছেন, তারা নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন ডা. ইকবালের বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে। এর মধ্যে অন্তত একটি নোটিসে ‘বিরূপ পরিণতির’ জন্য প্রস্তুত থাকার ‘হুমকিও’ দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার প্রত্যয় জানিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নিজস্ব কোনো অনুসন্ধান এসব প্রতিবেদনে নেই; সম্পূর্ণভাবে মামলার কার্যক্রম ও আদালতের আদেশই সেখানে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তাহলে কোন যুক্তিতে একটি সংবাদমাধ্যম এসব প্রতিবেদন সরিয়ে ফেলবে?”
আরও পড়ুন