হোম
+
তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।
Published : 08 May 2024, 01:57 PM
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. জাকির হোসেন ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এজেন্টদেরকে কেন্দ্রে আসতে না দেওয়া, কেন্দ্র দখলসহ নানা অভিযোগ এনে বুধবার দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
তবে প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থীরা এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
জাকির হোসেন বলেন, “আমি এই নির্বাচন মানি না। আমি পুনরায় নির্বাচন চাই। এটা নিয়ে আমি হাই কোর্টে রিট করব। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, তিনি যাতে এখানে পুনরায় নির্বাচন দেন।
“আমার এজেন্টদের কেন্দ্রে আসতে দেওয়া হয়নি। কয়েকটি স্থানে কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। তাই ভোট বর্জন করছি।”
তবে জাকিরের প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ঘোড়া প্রতীকের আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, “জাকির হোসেনের বিগত দিনের অদক্ষতা এবং মানুষকে সঠিক সেবা দিতে না পারায় জনগণ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনি প্রচারের শুরু থেকেই তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেননি। এ ছাড়া ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে জাকির হোসেন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার এজেন্ট না থাকাসহ বিভিন্ন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন। আর নির্বাচনে তার নিশ্চিত ভরাডুবি বুঝতে পেরে তিনি আবোলতাবোল করে ভোট বর্জন করেছেন।”
তিনি বলেন, “সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বেড়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। জাকির হোসেন নিজের পরাজয় বুঝতে পেরেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীরাও তার থেকে মুখ ফিরে নিয়েছে।”
আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী দোয়াত-কলম প্রতীকের আফরোজা কুসুম বলেন, “নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ। জাকির হোসেন নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে এসব ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছেন।”
মনোহরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন লড়ছেন।
এ উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র ৮০টি এবং ভোটকক্ষ ৫৩৫টি। মোট ভোটার ২ লাখ ১৬ হাজার ৯৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৩ হাজার ১১ জন এবং নারী ১ লাখ ৩ হাজার ৯৬১ জন।
