ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপ নির্বাচনে সব ধরনের প্রস্তুতি গুছিয়ে আনা হয়েছে।
Published : 10 Nov 2020, 11:49 PM
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আরো দুটি উপ নির্বাচনের আগের দিন বুধবার সব নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোটের সামগ্রী পৌঁছানো হবে।
যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও ইভিএমের কারিগরি প্রস্তুতির মধ্যে এ নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় নি। ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনী কার্যক্রমে ব্যবহৃত স্থাপনাগুলো বন্ধ থাকবে। যারা নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন, তারা ছুটির আওতায় থাকবেন।
নির্বাচনী এলাকায় মটরসাইকেল, ট্রাক ও পিকআপের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
ঢাকা-১৮
# ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১, ১৭, ৪৩ থেকে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং বিমানবন্দর এলাকা নিয়ে গঠিত এ আসন সাংসদ সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য হয়।
# ভোটার: ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮৮ জন
# ভোটকেন্দ্র ২১৭, ভোটকক্ষ ১৩৫৩টি
# ছয় প্রার্থী: আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হাবিব হাসান, বিএনপির এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, জাতীয় পার্টির নাসির উদ্দিন সরকার, গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ওমর ফারুক ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি) মবিবুল্লাহ বাহার।
ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার জি এম সাহতাবউদ্দিন বলেন, “ভোটের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নিয়োজিত রয়েছে। ইভিএমসহ নির্বাচনী সামগ্রী বুধবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ ৬ প্রার্থী রয়েছে। বিএনপি প্রার্থী ভোটের পরিবেশ নিয়ে বরাবরই অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছে।
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “ছোটোখাটো অভিযোগ তো করেই প্রার্থীরা। প্রচার শেষ করেছেন প্রার্থীরা, আজকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। যখনই কোনো অভিযোগ আসে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভোটও উৎসবমুখর হবে বলে আশা করি।”
ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটির কোনো নির্দেশনা এখনও কমিশন থেকে দেওয়া হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “ভোটের কাজে সম্পৃক্ত কেন্দ্র, স্থাপনা ও ব্যক্তি ছুটির আওতায় থাকবে। সেই সঙ্গে কিছু যান চলাচলও সীমিত রাখা হয়েছে ভোটের দিন।”
তিনি জানান, উত্তরা কমিউনিটি সেন্টার থেকে নির্বাচন সামগ্রী বিতরণ হবে। এখানেই ভোটের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় স্থাপন করা হবে এবং ভোটের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশনা করবেন।
সিরাজগঞ্জ-১
# কাজীপুর উপজেলা ও সদর উপজেলার মেছড়া, রতনকান্দি, বাগবাটি, ছোনাগাছা ও বহুলী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসন সাংসদ মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শূন্য হয়।
# ভোটার ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬০৩ জন
# ভোটকেন্দ্রে- ১৬৮, ভোটকক্ষ ৮২৪
# প্রার্থী: এ আসনে আওয়ামী লীগের তানভীর শাকিল জয় ও বিএনপির সেলিম রেজা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
এ উপ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, “ভোটের সব প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছি আমরা। ভোটের আগের দিন ইভিএম কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।”
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, “নির্বাচনী এলাকায় কোনো সাধারণ ছুটি নেই। শুধু যারা ভোটের দায়িত্বে থাকবেন এবং যেসব কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠানে ভোটের কাজে ব্যবহৃত হবে তাতে ছুটি থাকবে। অন্যসব স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে, ভোটাররা ভোট দেবে।”
ছুটির বিষয়ে নির্দেশনা
জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইসি সচিবালয়ের চাহিদ মোতাবেক ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ উপ নির্বাচনের দিন যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে সেগুলো বন্ধ থাকবে।
সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় সংস্থা/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হল।
মটরসাইকেল, পিকআপ ও ট্রাক চলাচলে কড়াকড়ি
ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ উপ নির্বাচনকে ঘিরে যানবাহন চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করে ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
১০ নভেম্বর দিবাগত ( মঙ্গলবার) মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৩ নভেম্বর (শুক্রবার) মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি বুধবার রাত ১২টা থেকে ১২ নভেম্বর দিবাগতরাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক ও পিকআপ চলাচল করতে পারবে না।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা দিয়েছে ইসি।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট এবং দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে এ কড়াকড়ি শিথিল করা যাবে।
এছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিক, ভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগের যানবাহন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।
জাতীয় মহাসড়কে চলাচলরত এবং বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহে নিয়োজিত যানবাহনের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা যাবে।
সব শেষ গেল ১৭ অক্টোবর দুই আসনে https://bangla.bdnews24.com/politics/article1816555.bdnews ইভিএমে ভোট হয়।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ঢাকা-১০, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। এরপর এই দুটি আসনেও ভোট হতে যাচ্ছে।
ইভিএমের ভোটে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ৫.২৮%, ঢাকা-৫ আসনে ১০.৪৩% এবং নওগাঁ-৬ আসনে ৩৬.৪৯% ভোটগ্রহণ হয়ে