রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় দেশের উন্নয়নে ‘নিজেকে উজাড় করে দিয়ে’ কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
Published : 01 Nov 2020, 04:59 PM
সচিবালয়ে রোববার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। বিখ্যাত ক্র্যাক প্লাটুনের একজন যোদ্ধা হিসেবে সাহসিকতার সঙ্গে বিভিন্ন সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছি।
“মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে জাতির পিতা বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করেছেন। পিতার ও কন্যার হাত থেকে পুরস্কার এ দুটিই আমি পেয়েছি। এ রকম ভাগ্য কার আছে? আর আমার পাওয়ার কিছু নাই।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে এবং জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য নয়জন ব্যক্তি এবং ভারতেশ্বরী হোমসকে এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
সাত মাস পর গত বৃহস্পতিবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সেই অনুষ্ঠান হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পুরস্কারজয়ী ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পদক তুলে দেন।
আর স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়ায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে রোববারের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, “স্বাধীনতা পুরস্কার আমাকে দেশ গঠনের কাজে আরও অনুপ্রাণিত করছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আজীবন কাজ করে যাব। দেশের উন্নয়নে যেন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি, এটাই সবার কাছে আমার কামনা।”
বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, এই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম ছাড়াও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।