এবারের স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীতদের তালিকায় সাহিত্যে রইজ উদ্দিনের নাম থাকলেও তার নাম বাদ দিয়ে বৃহস্পতিবার সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কেন রইজ উদ্দিনের নাম সংশোধিত তালিকায় নেই- সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কমিটি ও অর্থনৈতিক অধিশাখা) আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
গত ২০ ফেব্রুয়ারি নয় ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে এবারের স্বাধীনতা পদকের জন্য মনোনীত করা হয়, যেখানে সাহিত্যে রইজ উদ্দিনের নাম ছিল।
সদ্য সাবেক সরকারি কর্মকর্তা রইজ উদ্দিন ২৫টির বেশি বই লিখলেও সমকালীন বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে তিনি পরিচিত ছিলেন না।
রইজ উদ্দিনের নাম তালিকায় দেখে অনেক কবি-সাহিত্যিক বিস্ময় প্রকাশ করেন।
বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান ফেইসবুকে লিখেছিলেন, “এবার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন রইজ উদ্দীন, ইনি কে? চিনি না তো। নিতাই দাসই বা কে! হায়! স্বাধীনতা পুরস্কার!”
রইজ উদ্দিন নিজেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, এত বড় পুরস্কার পাবেন তা তার ধারণায় ছিল না।
বাংলাদেশের বেসামরিক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্তরা ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, পাঁচ লাখ টাকার চেক ও একটি সম্মাননাপত্র পান।
এবার পুরস্কারের জন্য মনোনীতরা হলেন কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ ও লেখক-অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, আজিজুর রহমান, অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী, ডা. এ কে এম এ মুকতাদির, কালীপদ দাস ও অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার। এছাড়া ভারতেশ্বরী হোমসকেও এবার পদক দেওয়া হবে।
আগামী ২৫ মার্চ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীতদের পদক বিতরণ করবেন।