ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চলাচলে একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
Published : 19 Oct 2020, 06:54 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য অস্ট্রিয়ান ফেডারেল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড দ্য গর্ভনমেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের ১৬ মে ভিয়েনায় বাংলাদেশ ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল চুক্তি অনুস্বাক্ষরিত হয়।
“প্রস্তাবিত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে একটি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার মূল ভিত্তি হিসেবে পরিগণিত হবে।”
আনোয়ারুল বলেন, চুক্তির মূল বিষয়টি হল- উভয় দেশ পারস্পারিক আলোচনার ভিত্তিতে যাত্রী ও কার্গো ফ্লাইটের সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারবে। চুক্তি অনুস্বাক্ষরের তারিখে একটি সমঝোতা স্মারকের দ্বারা উভয় দেশের মনোনীত বিমান সংস্থা সপ্তাহে সাতটি যাত্রী ও কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।
“আর কোনো ধরনের জটিলতা দেখা দিলে নিজেরা আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবে। আর যদি না পারে তাহলে আরবিটেশনের সাহায্য নিতে পারবে।”
অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি বিমান সার্ভিস চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্য, শ্রমবাজার, শিল্প, স্বাস্থ্যখাত এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়বে। এছাড়া ইউরোপ ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ সহজতর হবে বলে সরকারের ভাষ্য।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “ভিয়েনাতে অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান কার্যালয় রয়েছে। সেজন্য এটা আমাদের জন্য সেদিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এটা সম্পূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের যে চুক্তি সে অনুসারে করা হয়েছে।”