রাজধানী থেকে বেওয়ারিশ কুকুর অপসারণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বানোয়াট ছবি’ প্রকাশ করা হচ্ছে জানিয়ে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
Published : 20 Sep 2020, 12:45 AM
শনিবার করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এ ধরনের তৎপরতা’ বন্ধ না করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সম্প্রতি বেওয়ারিশ কুকুর সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনা চলছে।
ওই উদ্যোগের বিরোধিতা করে পশুপ্রেমীরা বলছেন, সিটি করপোরেশনের ওই উদ্যোগ রাষ্ট্রীয় আইনেরই লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তুমুল আলোচনা চলছে। ফেইসবুকে ঘুরছে কুকুর অপসারণ, ওষুধ দিয়ে অচেতন করা এবং ট্রাকে করে সরিয়ে নেওয়ার বিভিন্ন ছবি।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বলছে, বেওয়ারিশ কুকুর অপসারণ নিয়ে ফেইসবুকে ‘বিভ্রান্তিকর ও বানোয়াট ছবি’ ঘুরে বেড়াচ্ছে, এ ধরনের ‘বেশ কিছু ছবি’ তাদের নজরে এসেছে।
মেয়রের কার্যালয় থেকে পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুকুর মেরে গাড়িতে তোলা, অনেকগুলো মৃত বেওয়ারিশ কুকুরকে মেরে নর্দমার পাশে ফেলে রাখা, বেওয়ারিশ কুকুরকে নিস্তেজ করে বা মেরে খোলা ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়ার ছবি দেখানো হচ্ছে। এসব ছবি ‘বানোয়াট ও বিকৃত’।
করপোরেশন বলছে, একটি ছবিতে যে গাড়ি দেখানো হয়েছে, সেটি সিটি করপোরেশনের নয়। কুকুর অপসারণ কার্যক্রমে কুকুরকে সাময়িকভাবে অচেতন করার ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরই গাড়িতে তোলা হয়। এ কারণে অনেকগুলো কুকুরকে ভ্যাকসিন দিয়ে এক সাথে করে এক জায়গায় নর্দমার পাশে ফেলে রাখার ‘কোনো সুযোগ নেই’।
“আরেকটি ছবিতে দেখানো হচ্ছে, অনেকগুলো নিস্তেজ কুকর নসিমন জাতীয় একটি খোলা গাড়িতে আড়াআড়িভাবে রাখা হয়েছে। ছবির পেছনের দৃশ্য খেয়াল করলে বোঝা যায় ছবিটি কোনো গ্রামীণ এলাকার।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এরপরও কিছু কিছু ছবি এমনভাবে প্রচার করা হচ্ছে যা দেখে মনে হয় ডিএসসিসি বেওয়ারিশ কুকুরকে হত্যা করেছে। প্রকৃতপক্ষে ডিএসসিসি কোনো বেওয়ারিশ কুকুরকে হত্যা করেনি বা করছেও না।”
এসব ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও বিকৃত ছবি’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা কোনো সংঘবদ্ধ চক্র ডিএসসিসির ‘ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
সেখানে বলা হয়, “এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে সবাইকে অনুরোধ করা হল। পাশাপাশি যারা এই অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন, তাদেরকে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই যে, এই অপতৎপরতা অব্যাহত রাখা হলে ডিএসসিসি ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ এর মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।”
আরও পড়ুন: