গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের আওতায় গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন শেখ হাসিনা।
Published : 10 May 2024, 02:24 PM
সারাদেশে সমবায়ের মাধ্যমে যৌথভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “সারাদেশে সমবায় ছড়িয়ে দিতে হবে। এর মধ্যমে খাদ্যের নিশ্চয়তা, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও জীবনমান উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য। সরকারে আসার পর থেকে প্রচেষ্টা ছিল দেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত।”
শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের আওতায় দাঁড়িয়ারকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে কৃষি এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “দারিদ্র্য বিমোচন করে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল। এটি বাস্তবায়নের জন্য অনেকগুলো ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। তারমধ্যে ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ একটি ব্যবস্থা।
“এটি একেবারে হতদরিদ্র মানুষকে মুক্তি দেবে। সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যবস্থা হয়। আমরা সারাদেশে সমবায়ের মাধ্যমে মানুষকে নিয়ে যৌথভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চাই।”
দেশকে স্বাবলম্বী করার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “যুব সমাজ চাকরির পেছনে না ছুটে যেন ব্যবসা করতে পারে সেজন্য বিনা জামানতে ঋণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। পেনশন স্কিমে যোগ দিলে আর কাউকে ভাতার আশায় থাকতে হবে না।”
জলবায়ু পরিবর্তন থেকে দেশকে বাঁচাতে প্রত্যেকে যেন দুই-তিনটা করে গাছ লাগার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে একজনকে ধান মাড়াই মেশিন ও দুইজনকে ল্যাপটপ দেন। শিক্ষা সহায়তা হিসেবে ৩৮ শিক্ষার্থীকে ৪০ হাজার টাকা করে অনুদান, ১০ জনকে ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন, ৩৮ জন শিক্ষার্থীকে স্কুলড্রেস, ব্যাগ, কাগজ-কলম ও ছাতা বিতরণ করেন।
এ ছাড়া ১০ জনকে বাইসাইকেল, ১০ জনকে বীজ, সার, গাছের চারাসহ পুষ্টি বাগান উপকরণ ও দুইজনকে ১০ জোড়া করে মোট ২০ জোড়া কবুতর দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এরপর সড়ক পথে প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় ফিরবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে সকালে একদিনের সফরে ঢাকা থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, চাচাত ভাই শেখ হেলাল, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল বেলী অফিফাসহ পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: