যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে মারধরে নিহত তিন কিশোরের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।
Published : 14 Sep 2020, 10:29 PM
নিহত তিন কিশোরের অভিভাবকদের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চ সোমবার এ রুল দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
সানজিদ সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে যে অনিয়মগুলো রয়েছে, যেমন ধারণ ক্ষমতার বেশি শিশু বন্দি, খাবার-চিকিৎসা-মনোচিকিৎসক সঙ্কট এবং উৎপীড়ন নিরসনের জন্য কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, যশোরের পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক এবং যশোরের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে সহকারী পরিচালক ও প্রবেশন কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২০ আগস্ট নিহত তিন কিশোরের পরিবারের পক্ষে আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী ক্ষতিপূরণ ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা বিবাদীদের আইনি নোটিস দেন।
নিহত কিশোর পারভেজ হাসান রাব্বির (১৬) বাবা রোকা মিয়া, নাইম হাসান ওরফে আবু নাইমের (১১) বড় ভাই মো. শামীম এবং মো. রাসেল ওরফে সুজনের (১৭) বড় ভাই সাইফুল ইসলাম নান্টু হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন।
গত ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোর বন্দিদের মারধর করা হলে তিন কিশোর নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট রাতে নিহত পারভেজের বাবা রোকা মিয়া যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে আসামি করা হয়। ওইদিনই পুলিশ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার পর কেন্দ্রের তত্ত্ববধায়ক (সহকারী পরিচালক) আব্দুল্যা আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক (প্রবেশন অফিসার) মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলমকে পাঁচদিনের ও সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মো. মুশফিকুর রহমান ও কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুককে সাময়িক বরখাস্ত করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।