যশোর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলিপ কুমার রায় বলেন, “তিন কিশোরের পায়ে, পিঠে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মূলত মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।”
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরির পর মঙ্গলবার যশোরের সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাটে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে মারধরে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়। সে ঘটনায় আহত হয় আরও অন্তত ১৫ জন।
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ দাবি করে, বন্দি কিশোরদের দুই দলের সংঘর্ষে হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে।
তবে আহত কিশোরদের ভাষ্য, কেন্দ্রের প্রধান নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে কেন্দ্র কর্মকর্তা, আনসার সদস্য ও তাদের ‘অনুগামী’ কয়েকজন কিশোরের মারধরে হতাহতের এ ঘটনা ঘটেছে।
যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা যশোরের পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের এ ঘটনায় পাঁচ কর্মকর্তা আটক হয়েছে। তাদের সবাইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
এদিকে কেন্দ্রে নতুন সহকারী পরিচালক যোগ দিয়েছেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র খুলনার সহকারী পরিচালক জাকির হোসেনকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে যশোর সমাজসেবা কর্মকর্তা অসিত কুমার সাহা জানান।
তিনি বরখাস্ত সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদের জায়গায় কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: