অনলাইনে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধাচারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদকে হত্যার চার বছরের বেশি সময় পর ৯ জনকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ, যা বিচার শুরুর পথ খুলল।
Published : 21 Aug 2020, 01:17 AM
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের দেওয়া এই অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয়েছে জঙ্গি নেতা সৈয়দ জিয়াউল হককে।
সেনা বাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালিয়ে চাকরি হারানা জিয়াকে পরে জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সামরিক শাখার প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করে দেশের গোয়েন্দারা, তবে তার হদিস এখনও মেলেনি।
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে পুরান ঢাকায় খুন হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের ছাত্র নাজিমুদ্দিন।
তিনি সিলেট শাখা বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ফেইসবুকে ধর্মান্ধতা ও সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে সমালোচনামূলক লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি।
রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় বাসায় ফেরার পথে সূত্রাপুরে সড়কে নাজিমকে ছুরি মেরে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা একিউআইএস এর বাংলাদেশ শাখা আনসার আল-ইসলাম ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে তখন খবর দিয়েছিল ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ’।
২০১৬ সালের জুলাইয়ে গুলশান হামলার আগে দেশে ব্লগার লেখক, প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের উপর জঙ্গি হামলার ধারাবাহিকতায় খুন হন নাজিম।