স্বাস্থ্য খাতের অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে কাঠামোগত বরাদ্দের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
Published : 26 Jul 2020, 12:25 AM
একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি খাত ও অলাভজনক সংস্থার সমন্বয়ের তাগিদ দিয়ে তারা বলছেন, বিকেন্দ্রীকরণ ও সমন্বয়ের দায়িত্ব অবশ্যই সরকারকে নিতে হবে।
শনিবার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরাম আয়োজিত এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক লিড প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট আখতার মাহমুদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ ও লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সিনিয়র হেলথ ইকোনমিস্ট জাহাঙ্গীর খান এসব কথা বলেন।
আলোচনা সঞ্চালনা করেন বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট জিয়া উদ্দিন হায়দার।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরাম নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্ট সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাপ্তাহিক এই আয়োজন করে আসছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে আখতার মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে এখনও অনেক কিছু একীভূত অবস্থায় আছে। অবস্থা পরিবর্তনে সরকারের ভেতরে বিকেন্দ্রীকরণ হতে হবে অথবা সরকারের বাইরে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিয়ে পাবলিক পলিসির মাধ্যমে সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
“স্বাস্থ্য খাতে আমরা দেখলাম, অন্য খাতেও দেখি- ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব অভিযানে যায়। তাতে হৈ চৈ হয় কিন্তু সমস্যাগুলো দূর হয় না। কারণ তারা রেগুলেটর না। আমাদের রেগুলেটরি ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে। তরুণ অফিসারদের বিশ্বাস করতে হবে। তাদের ভালো কাজ করার স্পৃহা আছে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাদের পরিচিতিও বেশি।”
স্বাস্থ্য প্রশাসনের কথা উঠলে অর্থায়ন, সমতা এবং সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে মানুষকে সেবা দেওয়া নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন নাজনীন আহমেদ।
তিনি বলেন, “অতি দরিদ্রের তাদের জন্য শুধু হসপিটাল রাখলে হবে না। বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন ক্যানসার, যক্ষ্মা ও মাতৃসেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আলাদা প্রকল্প দরকার।
“কারণ পাবলিক হসপিটালে যাওয়ার সামর্থ্যও অনেকের নেই। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে কিছু প্রকল্প দেখা যায়, সেই বরাদ্দও যদি ঠিকভাবে ব্যবহার করা হতো তাহলে আউট অব দ্য পকেট খরচ কমানো যেত।”
“স্বাস্থ্য খাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করলে আমরা যেখানে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছি সেটা সম্ভব হবে,” বলেন নাজনীন আহমেদ।
জাহাঙ্গীর খানের মতে, “সব সময় আমাদের ক্ষমতার চেয়ে উঁচু মানের বাজেট করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা অন্য খাত থেকে যে টাকা আসার কথা, তা আসে না।
“বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনেও আমরা দেখেছি, এটা একটা বড় ধরনের ব্যর্থতা। বলা হয়, বরাদ্দ দিলেও খরচ হয় না। কেন খরচ হচ্ছে না সেটাও দেখতে হবে। যারা হাসপাতালের চাহিদা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানাচ্ছে, তারা কি দক্ষ? আমি মনে করি, তাদের প্রশিক্ষণ দরকার। কারণ চাহিদা অনুযায়ী বাজেট আমরা দেখতে পাই না।”