বন্যা প্লাবিত এলাকা বাড়ছে

ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে দেশের প্রধান নদীর পানি বাড়তে থাকায় বন্যার বিস্তৃতিও বাড়ছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2020, 07:13 PM
Updated : 28 June 2020, 07:13 PM

রোববার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, নদীগুলোর ১০১টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের ৮৬টি পয়েন্টে পানি বেড়েছে। এরমধ্যে ১৪টি স্টেশনের পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিলেট, নেত্রকোণ ও সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

আর লালমনিরহাট ও নীলফামারীর বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

এদিকে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় রোববার রাজধানীসহ দেশের সব বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সন্দ্বীপে ৭৮ মিলিমিটার।

সোমবারের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি  এবং দেশের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি  বৃষ্টিপাত হতে পারে।

বর্ষা-বানের মৌসুমে কৃষি সতর্কতা

দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস তুলে ধরে বর্ষা-বন্যার এ মৌসুমে কৃষকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

রোববার সাপ্তাহিক বুলেটিনে জানানো হয়, আগামী ৫ দিনে ঠাকুরগাঁও, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, শেরপুর, রংপুর, রাজশাহী, পঞ্চগড়, পাবনা, নীলফামারী, নাটোর, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, জামালপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের শঙ্কা রয়েছে।

সেই সঙ্গে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়াসহ কয়েকটি জেলায় বিরাজমান বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কৃষি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

>> জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করতে হবে;

>> জলাবদ্ধতা পরিহারে বীজতলার চারপাশে নিষ্কাশন নালা তৈরি করতে হবে;

>> দণ্ডয়মান ফসলকে বন্যা ও অতিবৃষ্টির ক্ষতি থেকে রক্ষায় আইল উঁচু করতে হবে;

>> উঁচু জায়গায় সমবায়ভিত্তিক আমন বীজতলা তৈরি করা যেতে পারে;

>> সেচ, সার, বালাইনাশক দেওয়া এবং চারা রোপণ থেকে বিরত থাকতে হবে;

>> দ্রুত পাকা সবজি ও ফসল সংগ্রহ করে নিরাপদ ও শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে;

>> পাকা ভুট্টা দ্রুত সংগ্রহ করতে হবে;

>> কলা, আখ, অন্যান্য সবজির খুঁটি-ঝাড় বেঁধে দিতে হবে;

>> জরুরি খাদ্য ও অন্যান সামগ্রঅ নিচু জায়গা থেকে উঁচু জায়গায় নেওয়ার ব্যবস্থাও রাখতে হবে;

>> গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগিকে উঁচু জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে;

>>ভারি বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে যেন পুকুরের মাছ ভেসে না যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।