দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণে উত্তেজনাপূর্ণ ঢাকার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ কেমন ছিল, তা পাঠকদের সামনে তুলে ধরতে ঢাকা দক্ষিণের তিনটি কেন্দ্রে দিনভর চোখ রাখা হয়েছিল।
Published : 01 Feb 2020, 11:52 PM
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মুগদাপাড়ার পাশাপাশি এই তিনটি কেন্দ্রের দুটি ছিল কাজী জাফর আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং অপরটি ছিল কাছের মুগদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
ভোট শুরুর আধা ঘণ্টা আগে থেকে শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা পর পর্যন্ত এসব কেন্দ্রে নজর রাখা হয়।
কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি, প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক, এজেন্টদের উপস্থিতি ও কর্মকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং অফিসারদের কর্মকাণ্ডেও নজর রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি ইভিএমে ভোট নিয়ে ভোটারদের অভিজ্ঞতাও তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে।
কাজী জাফর আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১৯ ও ১২০ নম্বর কেন্দ্র ছিল পুরুষ ভোটারদের জন্য, আর নারী ভোটারদের জন্য ছিল মুগদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২১ নম্বর কেন্দ্রটি।
তিনটি কেন্দ্রেই সমান সংখ্যক ছয়টি করে ইভিএম বুথ ছিল। ১১৯ নম্বর কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ২৮৭, ১২০ নম্বরে ২ হাজার ২৯৬ এবং ১২১ নম্বর কেন্দ্রে ২ হাজার ৩০৬ জন।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বিঘ্নে চলা ভোটে ১১৯ নম্বর কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৮০টি, ১২০ নম্বর কেন্দ্রে ৬৫৯টি, আর ১২১ নম্বর কেন্দ্রে পড়েছে মোটে ৩৬৪টি ভোট। অর্থাৎ তিন কেন্দ্রের মোট ৬ হাজার ৯১৯ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৮০৩ জন ভোট দিয়েছেন। তিন কেন্দ্রে মাত্র একটি ভোট বাতিল হয়েছে। শতাংশের হিসাবে ভোট হয়েছে মাত্র ২৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।
এই তিন কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণে কোনো সমস্যা না হলেও সকালে ভোট শুরুর আগে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্তই ছিল।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মাইজুদ্দিন মাইজু মাতব্বরের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে অবস্থান নিয়ে বিরোধ বাধে। সকাল সোয়া ৭টার দিকে তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ালেও একপক্ষ অবস্থান থেকে সরে যাওয়ায় ঘটনার সেখানেই শেষ হয়।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাকসুদা শমসের মাসুর প্রতীক ছিল আনারস, বিএনপির রাশেদা বেগমের প্রতীক বই ও রশিদা হানিফ পুতুল মোবাইল ফোন প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
দক্ষিণ মুগদাপাড়ার এই তিন কেন্দ্রের আশপাশে নৌকা, রেডিও ও আনারসের পোস্টারের বাইরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের কিছু পোস্টার ছিল। বাকি প্রার্থীদের পোস্টার ছিল হাতেগোনা।
পোস্টারের মতো এই তিন কেন্দ্রের আশপাশে ছিল নৌকা, রেডিও ও আনারসের প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের পদচারণা। ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনের কিছু কর্মী-সমর্থকদের বিচ্ছিন্নভাবে দেখা গেলেও ভোটকেন্দ্রের আশপাশে কোথাও তাদের জড়ো হতে দেখা যায়নি বা সংঘটিতভাবে ভোটারদের সহযোগিতা করতে দেখা যায়নি।
ভোটকেন্দ্রের ভেতরেও নৌকা, রেডিও, আনারসের এজেন্টদের অধিক্য ছিল। তিনিটি কেন্দ্রে ১৮টি বুথে অনেক প্রার্থীর কোনো এজেন্টই ছিল না। তবে মেয়রদের এজেন্ট ছিল সব বুথে।
নির্বিঘ্নে ভোট চললেও সব মিলিয়ে ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। প্রার্থীদের প্রতিক্রিয়াতেও ভোটার উপস্থিতি নিয়ে হতাশা ঝরেছে।
ভোট শুরু
সকাল ৮টা: একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ১২১ নম্বর ভোটকেন্দ্রে প্রথম ভোট দেন বেবি নামের এক তরুণী।
প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিয়ে উচ্ছ্বসিত বেবি বলেন, “খুবই আনন্দ লাগছে। ভয়ভীতির কোনো কারণ নাই, লুকোচুরি নাই।”
ভোট দিতে তার চার মিনিটের মতো লেগেছে বলে জানান বেবি। একই সময়ে আরেক বুথের প্রথম ভোটার গৃহিনী জমিলা খাতুন বিথিও জানালেন, তারও ভোট দিতে এ রকম সময় লেগেছে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেশিনে তো আগে ভোট দেই নাই, তাই তারা দেখায়া দিসে।”
কারা দেখিয়ে দিয়েছে জানতে চাইলে বিথি বলেন, “ম্যাডামরা।”
সকাল ৮টা ৯ মিনিট: ভোট দেওয়ার পর প্রায় ৭০ বছর বয়সী যোবেদা বেগম বলেন, “এক মিনিটে ভোট দিলাম। খুব সহজ, ভালো লাগসে।”
ভোট দিতে কি কারও সহযোগিতা লেগেছে জানতে চাইলে এই নারী বলেন, “আমি নিজেই দিয়েছি। ফেইসবুকে দেখসি কেমনে দিতে হয়। ভোট তো কেবল শুরু হইল, ভালোভাবেই হচ্ছে। পরে ঠিক থাকলেই হয়।”
যোবেদা বেগমের অভিজ্ঞতা সুখকর হলেও তাহমিনা বেগমের (৩৮) অভিজ্ঞতা তেমনটি নয়। ভোট দিতে পারলেও তার আঙুলের ছাপ না মেলায় শেষ পর্যন্ত এনআইডি স্মার্টকার্ড দিয়ে ভোট দিতে লেগেছে ১০ মিনিটের মতো।
সকাল ৮টা ১৪ মিনিট: ১১৯ নম্বর ভোটকেন্দ্রের ২ নম্বর বুথে ভোট দেন মো. খোকন মিয়া (৫০)।
তিনি বলেন, “যাক এবার ভোটটা দিতে পারলাম। ২-৩ মিনিটে সহজেই দিসি। এখন ফলটা সহজে হইলেই হয়।”
১২০ নম্বর ভোটকেন্দ্রের ৬ নম্বর বুথে ভোট দিয়ে ট্রাকচালক মো. হাসান মিয়ার প্রতিক্রিয়া একই রকম: “একেবারেই কঠিন না। তবে সন্দেহ আছে।”
কী নিয়ে সন্দেহ জিজ্ঞেস করলে হাসান বলেন, “গতবার তো লাইনে দেড়-দুই ঘণ্টা দাঁড়ায়া থাইকা ভোট দিতে পারি নাই। কইসে ভোট দেওয়া হয়ে গেছে, হা হা হা।”
সকাল ৮টা ৪০ মিনিট: হঠাৎ ছয়জন তরুণ কাজী জাফর আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলায় ১১৯ নম্বর কেন্দ্রে আসার চেষ্টা করেন। দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের বাধা চেষ্টা করলেও তাদের পাত্তা না দিয়েই কেন্দ্রে ঢুকে যান তারা। এ সময় আরও দুই পুলিশ সদস্য তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান। চলে যেতে বললে তাদের মধ্যে দুই তরুণ কিছুটা ধমকের সুরে বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারকে ডাকেন। তার সাথে কথা বলতে হবে। এই ছয় তরুণের প্রত্যেকের গলায় নৌকা ও রেডিও প্রতীকের লেমিনেটেড কার্ড ছিল।
প্রিজাইডিং অফিসার মো. রকিবুল্লাহ আসলে তরুণদের মধ্যে নিশাত নামের একজন রেডিও প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্ট পরিচয় দিয়ে ফোন ধরিয়ে দেন। রকিবুল্লাহ ফোনে কথা বলেন মিনিট দেড়েক।
তারপরও ছয় তরুণ প্রায় আধা ঘণ্টার মতো কেন্দ্রের ভেতরে ২ নম্বর বুথের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে বিভিন্ন সময় ওই তরুণদের ১১৯ ও ১২০ নম্বর ভোটকেন্দ্রে অবাধে চলাফেরা করতে দেখা যায়।
সকাল ৯টা: এক ঘণ্টায় ১১৯ নম্বর কেন্দ্রে ভোট পড়ে ১৩৫টি, ১২০ নম্বরে ১০৬টি এবং ১২১ নম্বরে ভোট পড়ে মোটে ৩৩টি।
সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ভোটারদের সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি দেখা গেছে, বেলা ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
বেলা ১২টা: চার ঘণ্টায় ১১৯ নম্বর কেন্দ্রে ভোট দেন ৪৯৮ জন ভোটার, ১২০-এ ভোট দেন ৩৮২ জন। আর ১২১-এ ভোট দেন ২০৮ জন নারী ভোটার।
বেলা ৩টা: তিন ঘণ্টা পর ১১৯ নম্বর ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন ৭৩৩, ১২০ নম্বর কেন্দ্রে ভোট দেন ৫১০ এবং নারী ভোট কেন্দ্র ১২১-এ ভোট দেন ৩৬৪ জন ভোটার। বাকি এক ঘণ্টায় এ কেন্দ্রে আর কোনো নারী ভোট দেননি।
বেলা সোয়া ৩টা: ছেলে মো. গাউছুল আজম পাটোয়ারী ও এক নিকটাত্মীয়ের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে আসেন বার্ধক্যে উপনীত মো. আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী (৯০)।
চারতলায় ১১৯ নম্বর কেন্দ্রের ৩ নম্বর বুথে ভোট দেন তিনি। অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে হাঁপাতে হাঁপাতে বলেন, “বাবা জীবনের শেষ ভোট হয়ত। একটু অসুবিধা হইসিল, পরে হেরা দেখায়া দিসে। আঙুলের ছাপ মিলতাসিল না। কার্ড ঢুকায়া ভোট নিসে। ভোট দিতে পারসি এইটাই শান্তি!”
এ সময় নিচে এসে কথা হয় কর্মসংস্থান ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুর রউফের সঙ্গে।
সহজে ভোট দিলেও ভোটার উপস্থিতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “এমন পরিবেশেও ভোটাররা কেন যে ভোট দিতে আসল না, বুঝলাম না। এটা এক ধরনের রাজনৈতিক পরাজয়।”
বেলা সাড়ে ৩টা: ফোনে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শামছুল হুদার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই মাত্র খবর পেলাম কাজী জাফরের পাশের কেন্দ্র কেএইচ কিন্ডার গার্টেন কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।”
এ বিষয়ে কারও কাছে অভিযোগ করেছেন কি না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “অভিযোগ কার কাছে করব? পুলিশ তাদের কথামতোই চলতেসে। পুলিশের সহযোগিতায় আমাদের এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে। তবে কাজী জাফর আহমেদ বা মুগদাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সিরিয়াস কোনো প্রবলেম হয়নি।”
স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী মাইজুদ্দিন মাইজু মাতব্বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইভিএম নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নাই। এমনিতে সব ঠিকঠাক থাকলেও কিছুটা গড়মিল আছে। রেডিও মার্কার কর্মীরা আমার এজেন্টদের বসতে দেয়নি।”
এ নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে পাল্টা প্রশ্নে তিনি বলেন, “কোথায় করুম, কার কাছে করুম?”
অভিযোগ সরাসরি আপনার বিরুদ্ধে নয়, আপনার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বলে জানালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই প্রার্থী বলেন, “এটা বিএনপির ধারাবাহিক ব্যাপার। এটা একটা রাজনৈতিক কৌশল এদের। এটা উনাদের অভ্যাস। নির্বাচন সুষ্ঠু হইসে তো, অবস্থা খারাপ দেইখা এসব বলছে। এটা তো ইভিএম ভোট। কারও কিছু করার নাই।”
ভোটার উপস্থিতি কম কেন প্রশ্নে বর্তমানের এই কাউন্সিলর বলেন, “হ্যাঁ, ভোটারের উপস্থিতি কম। কী কারণে কম এটা আমি জানি না। সব পক্ষই প্রচার-প্রচারণা চালাইসি। আমার তো মনে হয় ঢাকা শহরের শ্রেষ্ঠ প্রচারণা চালাইসি। কিন্তু ভোটাররাও কমিটেড ছিল তারা সকাল সকাল যায়া ভোট দিয়া দিব। কই আসল না তো? আমার তো মনে হয় থার্টি পারসেন্টের বেশি ভোট কাস্ট হবে কি না, সন্দেহ আছে।”
এলাকার ভোটারদের সমালোচনা করে এই প্রার্থী বলেন, “আমি এই এলাকায় যে কাজ করসি, জনগণ যদি কাজের মূল্যায়ন করে অবশ্যই আমি জিতব। আর যদি জনগণ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় এই পাল্লায় মাপে, দখলদারদের পছন্দ করে তাহলে আমার বিরুদ্ধে ভোট দিবে। কথা বুঝেন নাই? বাঙালির তো এক জিনিস বেশি দিন ভালো লাগে না। পোলাও থুইয়া ক্ষুদের ভাত খায়। ওই পাল্লায় যদি ফেলে আমার কিচ্ছু করার নাই। কর্মক্ষমতা দেখলে তো ইলেকশনই হওয়ার কথা না।”
ভোটকেন্দ্রে ঢুকে আধা ঘণ্টা-এক ঘণ্টা কাটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী শামছুল হুদা।
বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হলে দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রিজাইডিং অফিসাররা নির্দেশ দেন কেন্দ্রের মূল গেইট বন্ধ করে দিতে। নির্দেশনা অনুযায়ী তারা তালিকাভুক্ত নির্ধারিত ব্যক্তিদের রেখে বাকিদের বের করে দেন।
বিকেল সোয়া ৪টা: ১১৯ নম্বর বুথের ভোট গণনা শুরু হলে কক্ষের ভেতরে ওই ছয় তরুণের তিনজনকে দেখা যায়। পরে জানতে চাইলে তারা নিজেদের এজেন্ট পরিচয় দেন।
আগে তো আপনাদের ঢুকতেই দেয়নি, তাহলে এখন এজেন্ট হলেন কীভাবে প্রশ্নে এক তরুণ বলেন, “আগে আর দুইজন ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আমরা আছি।”
কাউন্সিলর প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের এজেন্ট পরিচয় দিলেও নিজেদের নাম বলেননি ওই দুই তরুণ।
পরে ফল ঘোষণায় জানা যায়, ১১৯ নম্বর কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে শেখ ফজলে নূর তাপস পেয়েছেন ৩৭২ ভোট, ১২০-এ পেয়েছেন ৩৩৮ এবং ১২১ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছেন ৪৮৫ ভোট।
সেখানে ধানের শীষে ইশরাক হোসেন ১১৯ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছেন ৩৫৩ ভোট, ১২০-এ পেয়েছেন ২৯৮ ভোট এবং ১২১ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছেন ২৩২ ভোট।
কাউন্সিলরদের মধ্যে ১১৯ নম্বর কেন্দ্রে রেডিও প্রতীকে বর্তমান কাউন্সিলর মো. সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৩০০ ভোট, ১২০ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছেন ৩০৩ ভোট এবং ১২১ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছেন ১৯১ ভোট।
বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী শামসুল হুদা ঘুড়ি প্রতীকে ১১৯ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছেন ৪৪২ ভোট, ১২০-এ পেয়েছেন ৩০৩ এবং ১২১-এ পেয়েছেন ২৫৪ ভোট।
আর ঝুড়ি প্রতীকে ১১৯ নম্বর কেন্দ্রে মাইজুদ্দিন মাইজু মাতব্বর পেয়েছেন ৫০ ভোট, ১২০-এ পেয়েছেন ৪৮ এবং ১২১ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছেন ৪০ ভোট।
এদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী মাকসুদা বেগম মাসু ১১৯ নম্বর কেন্দ্রে আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪২ ভোট, ১২০ নম্বরে পেয়েছেন ৩৪৩ ভোট এবং ১২১ নম্বরে পেয়েছেন ২০১ ভোট।
বিএনপির রাশেদা বেগম বই প্রতীকে ১১৯ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছেন ৩৮৮ ভোট, ১২০ নম্বরে পেয়েছেন ৩৭৯ ভোট এবং ১২১ নম্বরে পেয়েছেন ২৫১ ভোট। আর মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে রাশিদা হানিফ পুতুল পেয়েছেন যথাক্রমে ৪৭, ৩০ ও ৩২ ভোট।