ঢাকার মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী শুক্রবার রিমান্ড শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
মো. শাহিন আলম ওরফে ওমর, সাইফুল ইসলাম, হানিফুজ্জামান ওরফে বিপ্লব ও মো. আল মামুনকে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টারে টেররিজম ইউনিট।
তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে শুক্রবার বিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম খান আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চান।
অন্যদিকে আসামি আল মামুনের পক্ষে তার আইনজীবী মো. শামসুজ্জোহা রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
এর আগে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম মিন্টো রোডে পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “তারা কথিত জিহাদি প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবনের করমজলে গিয়েছিল। সেখানে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করে তারা। পরে বান্দরবান জেলার আলীকদমে গিয়ে প্রায় এক মাস তারা চাপাতি চালানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়।”
পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ শেষ করে ‘নাশকতার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যই’ তারা ঢাকায় এসে যাত্রাবাড়ীতে মিলিত হয়েছিল বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার জঙ্গিরা বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করত। নাশকতা চালিয়ে ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করার’ পরিকল্পনা ছিল তাদের।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে শাহীন ও মামুনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। সাইফুল ইসলামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী এবং হানিফুজ্জামানের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়।