বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে কাউন্টারে টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন, শাহীন আলম ওমর (২১), সাইফুল ইসলাম (১৮), হামিদুজ্জামান বিপ্লব (১৮) ও আল মামুন (২০)। তাদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম শুক্রবার ঢাকার মিন্টো রোডে পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্রেপ্তার চারজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আনসার আল ইসলামে সক্রিয় থাকার কথা স্বীকার করেছে।
“তারা কথিত জিহাদি প্রশিক্ষণের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবনের করমজলে গিয়েছিল। সেখানে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করে তারা। পরে বান্দরবান জেলার আলীকদমে গিয়ে প্রায় এক মাস তারা চাপাতি চালানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়।”
পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ শেষ করে ‘নাশকতার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যই’ তারা ঢাকায় এসে যাত্রাবাড়ীতে মিলিত হয়েছিল বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার জঙ্গিরা বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করত। নাশকতা চালিয়ে ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করার’ পরিকল্পনা ছিল তাদের।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে শাহীন ও মামুনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায়। সাইফুল ইসলামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী এবং হানিফুজ্জামানের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়।