বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন। অন্য আসামি হলেন আলীমুদ্দিন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন হেফাজতের চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ সোনা চোরাচালানি চক্রের এবং সোনা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে একই কায়দায় আরও সোনা চুরি করেছে।
“মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ঘটনায় জড়িত এজাহারনামীয় অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং আসামিদের কাছে থাকা অবশিষ্ট চোরাই সোনা, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধারের লক্ষ্যে তাদের সাত দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।”
এর আগে ১২৫ ভরি সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় রাজি বুলিয়ান স্টোরের ম্যানেজার আলী আশরাফ ১৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, রাজি বুলিয়ান স্টোরের দুই কর্মচারী সালাউদ্দিন এবং আলামিনকে চার পিস সোনাসহ (ওজন ১২৫ ভরি) নিউ মার্কেটের সাদিয়া জুয়েলার্সে পাঠানো হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিউমা র্কেট পৌঁছানো মাত্র তাদের গতিরোধ করা হয়। পরে তাদের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসামিরা সালাউদ্দিনকে মারপিট করে তার কাছে থাকা ৬২ ভরি সোনা, নগদ টাকা ও একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন নেয়। আলামিনের কাছ থেকে ৬৫ ভরি সোনা, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।