র্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার বিন কাশেম বিডিনিউজ টেয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনাস্থলে থাকা তিনটি বাসে আগুন দেয় শিক্ষার্থীরা। সেসব বাসের চালক-সহকারীদের রোববার রাত থেকে সোমবার দুপুরের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জাবালে নূর পরিবহনের যে বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে, সেই বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৯২৯৭) চালক মো. মাসুম বিল্লাহকে (৩০) শরিয়তপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই বাসের চালকের সহকারী এনায়েত (৩৮), অপর একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব ৭৬৫৭) চালক মোহাম্মদ জুবায়ের (৩৬) এবং আরেকটি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৭৫৮০) চালক মো. সোহাগ (৩৫) ও তার সহকারী রিপনকে (৩২) রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
মাসুম বিল্লাহকে শরিয়তপুর থেকে গ্রেপ্তারের কথা বলা হলেও অন্যদের কোথা থেকে কখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার বিন কাশেম দেননি।
তবে র্যাবে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বাসের চালক পালিয়ে গেলেও সহকারী এনায়েতকে ঘটনার পরপরই লোকজন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে দেয়। আর বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয় মিরপুর থেকে।
“প্রাথমিক তদন্তে র্যাব জানতে পেরেছে, এই তিন বাসের মধ্যে যাত্রী নেওয়ার প্রতিযোগিতার কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।”
গ্রেপ্তারদের সোমবার রাতেই ক্যান্টনমেন্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওই র্যাব কর্মকর্তা।
জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দর সড়কের জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভারের গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের মানবিক শাখার দ্বাদশ শ্রেণির আবদুল করিম এবং একাদশ শ্রেণির দিয়া খানম।
ঘটনার পর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে।
এ ঘটনায় দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম রোববার রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।