বাংলাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর সব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনগুলো।
Published : 04 Jun 2018, 07:05 PM
সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সন্দেহভাজন অপরাধীদের মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে।”
ঢাকায় ইইউ দেশগুলোর মিশনপ্রধানদের সম্মতিতে ইইউর স্থায়ী প্রতিনিধির পক্ষে এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
সেখানে বলা হয়, মাদক ও এর চোরাকারবার বিশ্বজুড়েই একটি বড় সমস্যা। বাংলাদেশে যে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে, সেখানে মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে, এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১২০ জনেরও বেশি মানুষ।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে আইন ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেইসঙ্গে তারা যাতে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগে না করে- তা নিশ্চিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয় বিবৃতিতে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটছে অভিযান চালানোর সময় মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে গোলাগুলিতে কিংবা মাদক বিক্রেতাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে।
তবে মানবাধিকারকর্মীরা ‘বন্দুকযুদ্ধ’ মৃত্যুর ঘটনাগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলছেন, মাদকের উৎস বন্ধ না করে এভাবে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ ঘটিয়ে অভিযানের সফলতা আসবে না।
এই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) গত ২ জুন এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে তারা গভীরভাবে নজর রাখছে।