ঋণ কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তের মুখে থাকা ফারমার্স ব্যাংকের ১৭ জন কর্মকর্তা ও গ্রাহকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাইছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
Published : 03 Apr 2018, 06:13 PM
জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকটির ‘কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের পর তারা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায়’ রয়েছেন বলে দুদকের সন্দেহ।
এদের মধ্যে কর্মকর্তা রয়েছেন এ কে এম শামিম (এমডি অ্যান্ড সিইও), আব্দুল মোতালেব পাটোয়ারী (ডিএমডি), গাজী সালাউদ্দিন (এসইভিপি), মো. জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার (ইভিপি), জিয়া উদ্দিন আহমেদ (এসভিপি), মো. লুৎফুল হক (ভিপি), মো. মনিরুল হক (ভিপি), মো. তাফাজ্জল হোসেন (এফভিপি), মোহাম্মদ শামসুল হাসান ভুইয়া (এভিপি), মাহবুব আহমেদ (এইও) ও মোহাম্মদ জাকির হোসেন (ইও)।
গ্রাহকরা হলেন মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), তার স্ত্রী রুজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, পূত্রবধূ ফারহানা আহমেদ, মেয়ে রিমি চিশতী ও মাজেদুল হক চিশতী।
মাহবুবুল হক চিশতী ফারমার্স ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ঋণ বিতরণে একাধিপত্যের অভিযোগে তাকে পদ থেকে অব্যাহতিও দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ফারমার্স ব্যাংকের শাখা এখন ৫৪টি
চিঠিতে তিনি বলেছেন, “অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত, ওই টাকায় অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং নামে-বেনামে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে।
“অত্র অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ সপরিবারে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সুতরাং অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের বিদেশ গমন রহিতকরণ একান্ত প্রয়োজন।”
ঋণ কেলেঙ্কারির কারণে প্রতিষ্ঠার চার বছর না পেরুতেই ধুঁকছে ফারমার্স ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে।