সিলেটে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এলে ব্যাংক খাতে সাম্প্রতিক অস্থিরতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সরাসরি ফারমার্স ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাদের নিয়ে কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “ফারমার্স ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতারাই ব্যাংকটিকে লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে।”
ফারমার্স ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই সংসদ সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর। আওয়ামী লীগের ২০০৯-১৪ মেয়াদের সরকারে কিছু দিনের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন তিনি।
ওই সরকার আমলেই ফারমার্স ব্যাংক অনুমোদন পেয়েছিল। তখনও অর্থমন্ত্রী ছিলেন মুহিত। ওই সময় নতুন ব্যাংকগুলো অনুমোদনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনার কথা তিনিও স্বীকার করেছিলেন পরে।
ঋণ কেলেঙ্কারি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে চাপের মুখে সম্প্রতি ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ ছাড়তে হয় মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম শামীমকেও এরপর অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তারও আগে গত বছর শত শত কোটি টাকা অনিয়ম দেখে ফারমার্স ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
ফারমার্স ব্যাংকের বর্তমান দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এই ব্যাংক এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের কেয়ারে আছে, সঙ্কট কাটাতে একটু সময় লাগবে।”
নানা অনিয়মের কারণে আরও কয়েকটি ব্যাংক ধুকতে থাকলেও ‘বাংলাদেশে কোনো ব্যাংকের পতন হয় না’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মুহিত এর মধ্যে আরও তিনটি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেবেন বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেটের ইসলামপুরে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ৪৩তম শাখা উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী। এরপরই ব্যাংক খাতের অস্থিরতা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রীর ভাই, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন, ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের পরিচালক এফতেয়ার হোসেন পিয়ার, এ কে ওবায়দুর রব, মো. আবু হানিফ খান ও মুশতাক আহমদ।