সরাসরি নিয়োগে কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে সেসব পদ পূরণ করার সিদ্ধান্তে কোনো পক্ষ বঞ্চিত হবে না এবং ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সচিব মোজাম্মেল হক খান।
Published : 08 Mar 2018, 05:49 PM
বৃহস্পতিবার সচিবালয়েসাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এখন থেকে কোনো শ্রেণির কোটাভুক্ত পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে যদি যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে মেধা তালিকায় যারা ওপরে থাকবে তাদের দিয়ে পূরণ করা যাবে। এটি হলো সহজ নিষ্পত্তি।”
বিষয়টি স্পষ্ট করে সচিব বলেন, “এতে ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নাই। কেউ হয়ত ভাবতে পারে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংস্কার হয়ে গেছে, এখন মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্ব কম দেওয়া হচ্ছে অথবা অন্য কোনো পদে পশ্চাদপদ শ্রেণিকে গুরুত্ব কম দেওয়া হচ্ছে- এসব কিন্তু ঠিক নয়।
তার ব্যাখ্যা হল, ওই সব কোটা সংরক্ষিত আছে এবং তা থাকবে। কিন্তু যদি কোটা থেকে উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া যায়, কেবল তখনই মেধা তালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করা হবে।
কোটা পদ্ধতির সংষ্কারের দাবি নিয়ে এক প্রশ্নে সচিব বলেন, যারা এ পদ্ধতি রাখতে চায় তারা মনে করে কোটার সুবিধা নেবে। আরেকটা ধারা মনে করে যে তারা মেধাবী, কিন্তু বঞ্চিত হচ্ছে।
সরকার তার নিজস্ব ধারায় রয়েছে মন্তব্য করে মোজাম্মেল হক খান বলেন, “কোটাটাও বহাল আছে, আবার মেধাবীরাও যেন বঞ্চিত না হয়। এখন যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এটা হল দুইটার একটা সহজ সমাধান।”
সরাসরি নিয়োগে কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে সেসব পদ পূরণ করতে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সেখানে বলা হয়, “সকল সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে সেসব পদ মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করতে হবে।”
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশব্যাপী শিক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সরকারের এ সিদ্ধান্ত আসে।
বর্তমানে দেশে পাঁচ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য। প্রতিবন্ধী এক শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ এবং নারী ও জেলা কোটা রয়েছে ১০ শতাংশ করে। সব মিলিয়ে কোটার জন্য বরাদ্দ ৫৬ শতাংশ পদ।