"সংগীতই ছিল তার ধ্যান জ্ঞান। আমৃত্যু তিনি সুস্থ ও শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা করে গেছেন।"
Published : 07 May 2024, 11:33 AM
গান, স্মৃতিচারণ এবং জীবনকর্মের নানা দিক আলোচনার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে স্মরণ করা হয়েছে ওস্তাদ মিহির কুমার নন্দীকে।
এই সংগীতজ্ঞের সপ্তম প্রয়াণ দিবস গেছে সোমবার। এ উপলক্ষে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ চট্টগ্রামের জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
'তোমার পরশ আসে' শিরোনামে অনুষ্ঠানে এই সংগঠক ও সংগীতগুরু মিহির নন্দীর জীবন ও কর্মের নানা দিক তুলে ধরেন বক্তারা।
কথামালা পর্বে অধ্যাপক রীতা দত্ত বলেন, "মিহির নন্দী ছিলেন সত্যিকারের একজন সংস্কৃতি অনুরাগী মানুষ। চট্টগ্রামে বড় পরিসরে পয়লা বৈশাখ আয়োজনে যে কজন ভূমিকা রেখেছেন তার মধ্যে তিনি অন্যতম।
"তার আগে তিনি দেশকে মুক্ত করতে যুক্ত হয়েছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। ১৯৭৪ সালে মিহির নন্দী যুক্ত ছিলেন রনেশ দাশগুপ্তের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতি সম্মেলনে। কর্মই এই সংগীতগুরুকে বাঁচিয়ে রাখবে।"
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক জাহেদ আলী যুবরাজ বলেন, "মিহির কুমার নন্দীর শিষ্যরা আজ বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। তিনি আলাউদ্দিন ললিত কলা কেন্দ্র, অগ্রণী সংঘ সঙ্গীত শিক্ষা কেন্দ্র ও আনন্দধ্বনীর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি ছিলেন।
"তাই বলা যায় সংগীতই ছিল তার ধ্যান জ্ঞান। আমৃত্যু তিনি সুস্থ ও শুদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা করে গেছেন।"
অন্যদের মধ্যে সংগঠক অনুপ সাহা, নাট্যজন দুলাল দাশগুপ্ত, বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শুভাগত চৌধুরী ও ওডিসি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্টের প্রমা অবন্তী আলোচনায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হয় মিহির নন্দীকে নিবেদিত একক ও সম্মেলক গান। 'সীমার মাঝে অসীম তুমি', 'জীবন মরণের সীমা ছাড়ায়ে', 'পথে চলে যেতে যেতে' এমন সব গানে এই শিল্পীকে স্মরণ করা হয় অনুষ্ঠানে।