রাজধানীর মহাখালীর আরজতপাড়ায় মিলু গোমেজ খুনের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
Published : 16 Dec 2017, 06:22 PM
পুলিশের ধারণা, সম্পত্তির কারণে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে এবং যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তার কাছ থেকে তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে।
গত শুক্রবার সকালে মহাখালীর আরজতপাড়ার বাসা থেকে মিলু গোমেজের (৬৫) গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময় বাসায় শুধু তার সত্তোর্ধ্ব বয়সী স্বামী ফিলবার্ড অনিল গোমেজ ছিলেন।
পুলিশের ভাষ্য, সকালে বাসার ভাড়াটিয়া ডাকাডাকির পর অনিল গোমেজ দরজা খুলে দেন। সে সময় ড্রইং রুমের দরজার কাছে মিলু গোমেজের রক্তাক্ত লাশ পড়ে ছিল।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই ঘটনায় একজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।”
এই ব্যক্তি প্রায়ই বৃদ্ধ দম্পতির বাজার করে দিতেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার। ওই বাসায় কোনো দারোয়ান বা কর্মচারী নেই।
তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া ওই ব্যক্তির নাম না জানিয়ে বলেন, “সমধর্মীয় ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি দেখছেন।”
নিহত মিলু গোমেজের নামে ফার্মগেইট এলাকায় দুইটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট রয়েছে। আর বাড়িতে খুনের ঘটনা ঘটেছে, আট কাঠা জমির উপর পুরানো আমলের তিনতলা সেই বাড়িটি বৃদ্ধ অনিল গোমেজের নামে।
উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার জানান, এসব সম্পত্তির বিষয়টি হত্যাকাণ্ডের পেছনে কাজ করেছে বলে তারা ধারণা করছেন। এমন তথ্যও তারা পাচ্ছেন।
“তবে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
এই দম্পতির চার ছেলের তিনজন কানাডায় এবং একজন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃদ্ধ অনিল গোমেজকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানিয়ে তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেণ, “বয়সের কারণে তার কথা বেশ এলোমেলো। এরপরেও প্রয়োজনে তাকে আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।”