একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আইন সংস্কার ও সংসদীয় আসনের সীমানা বিন্যাসে পরামর্শক নিয়োগ দেবে নির্বাচন কমিশন।
Published : 05 Jul 2017, 10:54 AM
সংলাপে অংশীজনের মতামত, মাঠ কর্মকর্তাদের প্রস্তাব ও বাস্তবতা বিবেচনা করে পরামর্শকরা নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ মতোই কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
আগামী ৩০ জুলাই থেকে নির্বাচনী বিষয়গুলো নিয়ে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
নভেম্বরের মধ্যে সংলাপ সেরে এপ্রিলের মধ্যে আইন সংস্কার ও সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই দেড় বছরের কাজের কর্মপরিকল্পনাও করেছে ইসি।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিশাল কর্মযজ্ঞ গুছিয়ে রাখতে ইসি সচিবালয় কাজ করছে। তবে অন্যতম দুটি অনুষঙ্গ নিয়ে পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে।
ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ কমিশনের অনেক নির্বাচনী আইন-বিধি রয়েছে। অংশীজনের সঙ্গে সংলাপে নানা বিষয়ে মতামত আসবে। সঙ্গে রয়েছে ৩০০ সংসদীয় আসনের সুচারু পুনর্বিন্যাস।
“গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি কাজ করার জন্যে কিছু পদ্ধতি মেনে পরামর্শক নিয়োগ দেব আমরা। আইনি সংস্কারের জন্য একজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে এবং সীমানা পুনর্বিন্যাসের জন্য আরেকজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে কমিটি থাকবে। পরামর্শক কমিটি নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”
সচিব জানান, আইন ও সীমানা নিয়ে ইসির সঙ্গে কাজ করেছে এমন ব্যক্তিদেরকেই পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।
ইসির কর্মপরিকল্পনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় মনে হয়েছে আইনের কোথাও কোথাও পরিবর্তন ও সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের আইনের কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত পরামর্শক কমিটি আইনের ধারা, উপধারাগুলো যুগোপযোগী কি না তা পরীক্ষা করে দেখবে এবং সুপারিশ প্রনয়ন করবেন।
কমিশন বলছে, সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণে কেবল জনসংখ্যা বিবেচনায় না রেখে ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় নেওয়া জরুরি। আবার জনসংখ্যার দিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে গ্রাম অঞ্চলের আসন সংখ্যা কমে যাচ্ছে এবং বড় বড় শহরের আসন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বৈষম্যের অবসান ঘটাতে আইনি কাঠামোর সংস্কার প্রয়োজন।
ইসি সচিব বলেন, “সব আইন-বিধি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা গেলে নির্বাচনকালীন সময়ে অর্থ ও পেশী শক্তির ব্যবহার দমন করা সম্ভব হবে। এজন্যে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন-পরিমার্জনের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলসহ বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি পর্যায়ে পরামর্শ নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশন বিষয়গুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত দেবে।”