বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলার আসামি সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফকে (হাসান আবদুল হালিম) জামিন দেয়নি ঢাকার একটি আদালত।
Published : 05 Jun 2017, 06:45 PM
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল হক তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
এদিন তাদের আইনজীবী হিসেবে জামিন আবেদন শুনানি করেন যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর আবদুর রহমান হাওলাদার এবং ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি শেখ হেমায়েত হোসেন।
শুনানিতে সাদমানের আইনজীবী রহমান বলেন, হাকিমের কাছে দেওয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারার জবানবন্দিতে অভিযোগকারী দুই তরুণী সাদমানকে ধর্ষক হিসেবে উল্লেখ করেননি।
“সাদমান শুধু সাফাতের সঙ্গে ওই দুই নারীকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন বলে তাদের (দুই নারী) জবানবন্দিতে তথ্য এসেছে। মামলার ঘটনার সঙ্গে সাদমান সম্পৃক্ত নন।”
এই মামলার প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান। গত ৬ মে মামলার পাঁচ দিন পর সিলেট থেকে সাফাতের সঙ্গেই সাদমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সাফাত ও সাদমান ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার আরেক আসামি নাঈম বা হালিমও।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত ২৮ মার্চ রেইনট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সাদমানই ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে সাফাত ও নাঈম তাদের ধর্ষণ করেন।
ঘটনার এক মাসের বেশি সময় অভিযোগকারীদের ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মেলেনি বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে তারা।
সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনও ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার বাকি আসামি সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলীও গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
মামলাটি তদন্ত করছে ডিএমপির উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।