“ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি; সকালে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা হলেও আমরা তা প্রতিহত করেছি।“
Published : 08 May 2024, 12:44 PM
পাবনার বেড়া ও সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে বেড়ার পায়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল বাতেন অভিযোগ করেন।
আব্দুল বাতেন বলেন, “বেড়া উপজেলা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে স্থানীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর ছেলে বেড়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আসিফ শামস রঞ্জন হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল হক বাবুর পক্ষে গত কয়েকদিন ধরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিলেন।
“সকালে ভোট শুরু হলে পায়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রঞ্জনের অনুসারী ও বেড়া পৌর কাউন্সিলর কিরণের নেতৃত্বে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কেবল মাত্র হেলিকপ্টার প্রতীকে ভোট দিতে রাজি না হওয়ায় মোল্লা পাড়ায় ভোটারদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে সন্ত্রাসীরা।”
তিনি বলেন, “প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে কেন্দ্রের ভেতর অপকর্ম করতে না পেরে যেকোনো মূল্যে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে আসিফ শামস রঞ্জনের ক্যাডার বাহিনী। আমি বিষয়টি তীব্র নিন্দা জানাই এবং ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
এ বিষয়ে রেজাউল হক বাবু বলেন, “আমি বা আমার কোনো কর্মী-সমর্থকরা কাউকে বাধা দেয়নি। বরং কিছু কিছু কেন্দ্রে আমার কর্মী-সমর্থকদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে।”
পায়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান বলেন, “ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকালে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা হলেও আমরা তা প্রতিহত করেছি। কেন্দ্রের বাইরে কোনো ঘটনা ঘটলে সেটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে।”
পাবনার বেড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। মোবাইল টিম সক্রিয় রয়েছে। ভোটারদের বাধা দেওয়ার তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে সুজানগর উপজেলায় মথুরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল ওহাব।
এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান এবং আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, “বাধা দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে।”
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ আলম বলেন, “আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। আর এ ধরনের অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।”
এর আগে সোমবার মধ্যরাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগে শাহিনুজ্জামান শাহিনসহ ১১ জনকে ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকাসহ আটক করে র্যাব।
পরে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান র্যাব-১২ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান।
পুরনো খবর: