অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আরও তিনজন সাক্ষ্য দিলেও বাদীকে এখনও আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ।
Published : 20 Nov 2016, 09:31 PM
এই মামলার বাদী ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মো. মনির হোসেন মাসুদ।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম কৌঁসুলি সালাহউদ্দিন হাওলাদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাদীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিচার শুরুর পর্যায় থেকেই মামলার বাদী অনুপস্থিত।”
রোববার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে গুলশান থানার এএসআই হুমায়ুন কবির, রামপুরা থানার এএসআই জহিরুল ইসলাম এবং এসবিতে কর্মরত এএসআই শাহীন মিয়া সাক্ষ্য দেন।
বিচারক এস এম জিয়াউর রহমান আগামী সোমবার সাক্ষ্য নেওয়ার পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন।
মামলার আসামি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য আরিফুল ইসলাম, জিকরুল্লাহ, সাইফুল ইসলাম, জুনায়েদ ওরফে তাহের ও হাসিব ওরফে আব্দুল্লাহর মধ্যে প্রথম তিনজন এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের মামলায় গত ২৬ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
প্রথম দিন সাক্ষ্য দেন তেজগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকার দোকানি মনিরুল ইসলাম, তপনকুমার শীল ও পথচারী আবু ইউসুফ।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের পর ধারাবাহিক ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট হত্যাকাণ্ডের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওয়াশিকুরও।
ওই বছরের ৩০ মার্চ তেজগাঁওয়ে নিজের বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে খুন হন তিনি।
সেদিন ঘটনাস্থল থেকেই আরিফুল ও জিকরুল্লাহকে ধরে পুলিশে দিয়েছিলেন কয়েকজন হিজড়া।
হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে সাইফুল ধারাল অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে তোকে এ মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয় পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে।
ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মাসুদ ঘটনার দিনই তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ গত বছর ১ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়।
এ মামলার অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৪০ জনকে সাক্ষী করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অ্যাডভোকেট হাওলাদার বলেন, মামলার আসামি আরিফুল ইসলাম ওরফে এরফান ওরফে মুশফিক নিজেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক দাবি করে শিশু আদালতে বিচারের আবেদন করেছিলেন। তবে তার বয়স ১৯-২০ বছর হওয়ায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিচারক সেই আবেদন নাকচ করে দেন।