ফের অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট খুন, ২ জনকে ধরল জনতা

রাজধানীতে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে ওয়াশিকুর রহমান ওরফে বাবু নামে এক যুবককে, যিনি ফেইসবুক ও অনলাইনে লেখালেখি করতেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2015, 06:03 AM
Updated : 30 March 2015, 06:03 AM

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বেগুনবাড়িতে সোমবার সকালে এই হত্যাকাণ্ডের পরপরই জনতা ধাওয়া করে দুই মাদ্রাসাছাত্রকে ধরে ফেলে। তিন হামলাকারীর মধ্যে এই দুজন ছিলেন বলে স্থানীয়দের দাবি।

দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বেগুনবাড়ি এলাকার দীপিকার মোড়ে এই হত্যাকাণ্ডস্থল থেকে তিনটি রক্তাক্ত চাপাতি উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

ওয়াশিকুরের ক্ষেত্রেও গলার ওপরের অংশ, মুখ ও মাথা ছিল হামলাকারীদের লক্ষ্যবস্তু, যেভাবে এর আগে অধ্যাপক ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার, এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন ও লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়েছিল।

অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ, ব্লগার আসিফ মহীউদ্দীনের ওপর হামলার ক্ষেত্রেও মাথাই ছিল লক্ষ্যবস্তু। অধ্যাপক আজাদ পরে মারা যান। শীতের সময় আসিফের পরনে ভারী কাপড়-চোপড় থাকায় বেঁচে যান তিনি।

অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের এক মাসের মাথায় আবারও একজন ‘অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট’ খুন হলেন। অভিজিতের মতো ওয়াশিকুরও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করতেন। অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের সক্রিয় প্রতিবাদী ছিলেন তিনি।   

আগের হামলা কিংবা হত্যাকাণ্ডের সময় না ঘটলেও এবারই প্রথম হামলাস্থল থেকে কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন। ফলে তা থেকে হামলার পরিকল্পনাকারীদের ধরার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

গ্রেপ্তার সন্দেহভাজন দুই হামলাকারীর মধ্যে জিকরুল্লাহ নামের একজন চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র। আর আরিফুল নামের অন্যজন পড়েন মিরপুরের দারুল উলুম মাদ্রাসায়।

তাদের দুজনকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

তারা পুলিশকে বলেছেন, আবু তাহের নামে আরেকজন তাদের সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।

বিপ্লব সরকার সাংবাদিকদের বলেন, “ধর্মীয় মতাদর্শ নিয়ে লেখালেখির কারণে বিরোধ থেকে ওয়াশিকুরকে হত্যার কথা গ্রেপ্তার দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।

গ্রেপ্তার জিকরুল্লাহ ও আরিফুল

 

“তারা প্রাথমিকভাবে পুলিশকে কিছু তথ্য দিয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। তথ্যগুলোর সত্যতা মিললে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করবে।”

পরিবারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৭ বছর বয়সী ওয়াশিকুর তেজগাঁও কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষ করে মতিঝিলের ফারইস্ট এভিয়েশন নামের একটি ট্র্যাভেল এজেন্সিতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন। তার বাবার নাম টিপু সুলতান, বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর গ্রামে।

সামহোয়্যারইন ব্লগে ‘বোকা মানব’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থাকলেও তিনি মূলত লেখালেখি করতেন ফেইসবুকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।

এর আগে হত্যাকাণ্ডগুলোর সময় আনসারুল্লা বাংলা টিমসহ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের নাম এলেও জিকরুল ও আরিফুল কোনো সংগঠনে জড়িত কি না, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। 

“তারা কোনো সংগঠন বা দলের কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে,” বলেন পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব।

জিকরুল্লাহ ও আরিফুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রোববার হাটহাজারী থেকে ঢাকায় আসেন জিকরুল্লাহ। কীভাবে কী করা হবে সে বিষয়ে রোববারই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।

বাসার সামনেই প্রকাশ্যে খুন

দুই বছর আগে রাজধানীর মিরপুরে ব্লগার রাজীব হায়দারের মতো ওয়াশিকুরের ওপর হামলাও হয়েছে তার বাসার সামনেই। তবে রাজীবকে হত্যা করা হয় রাতে, আর ওয়াশিকুরকে সকালে।

দক্ষিণ বেগুনবাড়ি এলাকার দীপিকার মোড়ের কাছে একটি বাসায় সাবলেট থাকতেন ওয়াশিকুর। সকাল পৌনে ১০টার দিকে বাসার কাছেই গলিতে তিনজন চাপাতি নিয়ে ওয়াশিকুরের ওপর হামলা চালায়।

পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব বলেন, “সকালে ওয়াশিকুর বাসা থেকে বেরিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পেছন থেকে তার ওপর হামলা চালায় তিনজন। পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।”

ওয়াশিকুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার সঙ্গে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র এবং আটক দুই মাদ্রাসাছাত্রের বক্তব্য শুনে পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।  

রাস্তার যে অংশে ওয়াশিকুরের ওপর হামলা হয়, তার এক পাশে টেক্সটাইল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার প্রাচীর। অন্যপাশে আরেকটি ভবন।

প্রায় ১০ ফুট চওড়া রাস্তার ঠিক ওই অংশে কোনো দোকান নেই। ঘটনার সময় ওই রাস্তায় লোকজনও খুব একটা ছিল না বলে স্থানীয়রা জানায়। 

এই স্থানে খুন হন ওয়াশিকুর

ওয়াশিকুরের বাসা থেকে হত্যাকাণ্ডস্থলের দূরত্ব ৫০ গজের মতো। তার আগেই একটি মুদি দোকান ও একটি ফার্মেসি রয়েছে। ফার্মেসি থেকে ঘটনাস্থল দেখা যায়। ঘটনার সময় সেটি খোলা থাকলেও পরে দোকান মালিক ঝাঁপ ফেলে চলে যান বলে স্থানীয়রা জানান। 

খোকন জেনারেল স্টোরের মালিকের ছোট ভাই জিয়াউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হঠাৎ নারীকণ্ঠে চিৎকার শুনে তিনি ও দোকানে থাকা কয়েকজন খদ্দের বেরিয়ে এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় একজন রাস্তায় পড়ে আছেন এবং তা দেখে এক নারী চিৎকার করছেন। আর তিন যুবক দৌড়ে মূল রাস্তার দিকে পালাচ্ছে।

বারেক নামে আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিন হামলাকারী পালানোর সময় কয়েকজন হিজড়া দুইজনকে জাপটে ধরে। পেছন থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে গিয়ে দুইজনকে আটক করে। পরে পুলিশ এলে তাদের গ্রেপ্তার করে। 

ধারাল অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ওয়াশিকুরের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। মাথার সম্মুখভাগ এবং পেছনের দিকে অস্ত্রের ছয়টি আঘাতের ক্ষত পাওয়া গেছে।

লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক একেএম শফিউজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, মাথার পেছনে দুটি, নাকের ওপরের দিকে আড়াআড়ি একটি কোপের চিহ্ন রয়েছে। এতে দুই চোখ গলে গেছে। এছাড়া থুতনির মাঝ বরাবর একটি কোপ এবং গলায় দুটি কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

“সামনের কোপগুলো অনেক গভীর ছিল যাতে শ্বাসনালীও কেটে যায়। মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়।”

এর আগে তেজগাঁও শিল্পঞ্চল থানার এসআই হাবিবুর রহমানও সুরতহাল প্রতিবেদনে ছয়টি জখমের কথা উল্লেখ করেছিলেন।

ওয়াশিকুর দক্ষিণ বেগুনবাড়ির ৬ তলা ভবন বিসমিল্লাহ মঞ্জিলের দ্বিতীয় তলায় সাবলেট থাকতেন। তিন কক্ষের ওই ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে বাবা টিপু সুলতানও থাকতেন ছেলের সঙ্গে। ওয়াশিকুরের বাবার সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ হয় বেশ আগে।  

ওই ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া জাকির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১৬ হাজার টাকা ভাড়ায় তিন রুমের একটি বাসা নিয়েছিলাম আমরা। দুই বছর আগে ওয়াশিকুর ও তার বাবা ৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি রুম সাবলেট নেয়।”

দৈনিক বাংলা মোড়ের মোটরপার্টস ব্যবসায়ী টিপু সোমবার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর যাবেন বলে সকালেই বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। তার কয়েক ঘণ্টা পর বের হওয়ার সময় হামলার ‍মুখে পড়েন তার ছেলে ওয়াশিকুর। 

জাকির বলেন, এক বছর ধরে ওয়াশিকুর মতিঝিলের ফার ইষ্ট এভিয়েশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেয়েছিল। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে সে বাসা থেকে বেরিয়ে যেত। সন্ধ্যার কিছু পরই বাসায় ফিরত।

দাফনের জন্য ওয়াশিকুরের লাশ লক্ষ্মীপুর নিয়ে যাওয়া হবে বলে তার ভগ্নিপতি মর্গে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

অভিজিৎ হত্যার প্রতিবাদী

ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করে আসা অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর তার প্রতিবাদে ইন্টারনেটে সক্রিয় ছিলেন ওয়াশিকুর, যা হত্যাকাণ্ডের কারণ বলে মনে করছেন তার বন্ধুরা।  

নিজের ফেইসবুক পাতায় ধর্ম, বিজ্ঞান এবং সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী বিভিন্ন লেখা এসেছে বিভিন্ন সময়ে। অভিজিৎ হত্যার প্রতিবাদে তিনি নিজের ফেইসবুক পৃষ্ঠার ব্যানারে লিখেছিলেন- ‘#আইঅ্যাম অভিজিৎ। ওয়ার্ডস ক্যাননট বি কিলড।’

এই মার্চ মাসেই আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন- ‘সিদ্ধান্ত নিলাম বাসে যাতায়াতে বসার সুযোগ পেলে অভিজিৎদা'র বই মেলে পড়া শুরু করবো’।

ওয়াশিকুরকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার খবর শুনে তার ফেইসবুক বন্ধুরা সেখানে উপস্থিত হন। তারা বলেন, অভিজিৎ রায় ও ওয়াশিকুর হত্যাকাণ্ড এক সূত্রে গাঁথা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দেখা গেছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ওয়াশিকুরের মরদেহ। চাপাতির কোপে তার চোখের অস্থিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। বাম গাল, মুখে রয়েছে রক্তাক্ত জখম। এছাড়া শরীরের কোথাও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই।

দুই বছর ধরে ওয়াশিকুরের ফেইসবুক বন্ধু তামান্না সেতু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিজিৎ রায়কে হত্যায় জড়িতরাই একই কায়দায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ওকে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক সত্য বেরিয়ে আসবে।”

মাত্র এক মাস আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলার বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ এখনও হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে পারেনি।

“ওয়াশিকুরের মৃত্যুর ঘটনা যেন অভিজিৎদা’র খুনিদের খুঁজে পেতে সহায়তা করে। ওয়াশিকুর মরে খুনিদের যেন আমাদের হাতে তুলে দিয়ে গেল,” বলেন তামান্না সেতু।

অভিজিতের মৃত্যুতে ওয়াশিকুর খুবই কষ্ট পেয়েছিল বলে জানান সেতু।

“আমি ওকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম। ফোনে মাঝে-মধ্যে ওর সঙ্গে কথা হত। আমাকেও কী যেন একটা কথা বলতে চেয়েছিল সে। ফেইসবুক হ্যাক হয়, আবার ফোন টেপ হয়, তাই কি যেন একটা বলতে চেয়েও বলতে পারত না ও।”

সেতু বলেন, “অভিজিৎ রায় হত্যার পর আমি ওকে সাবধান হতে বলেছিলাম।”

ওয়াশিকুরের বোন শিল্পী ও তার স্বামী মিজান

খবর শুনে মর্গে যান ওয়াশিকুরের খালু আফসার হোসেন সোহেল ও খালাত ভাই ইমরান হোসেন। যান বোন শিল্পী ও ভগ্নিপতিও।

ইমরান বলেন, “ওয়াশিকুর ফেইসবুকে লেখালেখি করতো বলে শুনছি। তবে এ কারণে ওকে কেউ মেরে ফেলতে পারে, তা তো স্বপ্নেও ভবিনি।”

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এবং ওয়াশিকুরের ফেইসবুক বন্ধু বাকী বিল্লাহ বলেন, “সে ‘নাস্তিকদের কটূক্তির বিরুদ্ধে দাঁত ভাঙ্গা জবাব’ নিয়ে খুব অ্যাক্টিভ ছিল এবং তীক্ষ্ণভাবে লিখত।”

ওয়াশিকুর সামহয়্যারইনব্লগ এবং সচলায়তনে মাঝে মাঝে ব্লগিং করলেও তিনি ফেইসবুকেই নিয়মিত লেখালেখিতে সক্রিয় ছিলেন বলে জানান তার পরিচিত ব্লগার আনিস রহমান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সে নিজে যা মনে করত, তা স্পষ্টভাবে বলত। অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর ফেইসবুকে আক্রমণাত্মক কথাও বেশি বলেছে সে। এটা হয়ত তাকে ধর্মান্ধদের কাছে অপ্রিয় করে তুলেছে।”

ফেইসুবক বন্ধু শামীমা মিতু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফেইসবুকে ‘বাঁশের কেল্লা’ পেইজ থেকে নিয়মিত গালাগালি করা হত ওয়াশিকুরকে।