এক মাস ধরে জলাভূমিতে বিচরণরত ভারতীয় হাতিটি বন্যায় খাদ্য সঙ্কটে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
Published : 31 Jul 2016, 10:57 PM
আসামে বন্যা থেকে বাঁচতে উঁচু জায়গায় চলে যাচ্ছে হাতিরা
হাতিটির মর্জির অপেক্ষায় বনবিভাগ
ভারতের সেই হাতি এখনও সিরাজগঞ্জে, পাহারায় ৫ পুলিশ
বানের জলে সীমান্তের ওপার থেকে ভেসে আসা হাতিটি কয়েকটি জেলা ঘুরে এখন আবার জামালপুরে ফিরে চরাঞ্চলে অবস্থান করছে।
হাতিটিকে নিতে ভারতের একটি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসবে।
তার আগে এই বন্যপ্রাণীটিকে দেখভালের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হাতিটির সঙ্গে থাকা চিকিৎসক সৈয়দ হোসেন সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়ে রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বন্যায় জামালপুরের অবস্থা বেশ খারাপ।
“বানের জলে চারদিক ডুবে যাওয়ায় হাতিটির খাবার সঙ্কট হচ্ছে। তাতে ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে এটি।”
এই পশু চিকিৎসক বলেন, ৫ টন ওজনের বুনোহাতির জন্য গড়ে প্রতিদিন ৫০-৬০ কেজি খাবারের প্রয়োজন হয়।
“জল থেকে শুকনো এলাকায় উঠে যেতে চায় হাতিটি। কিন্তু তার খাবারের এলাকাও ডুবে গেছে তিন দিন হল। এ অবস্থায় ঘাস, কলাগাছ ও অন্যান্য খাবার পাওয়াও তার জন্যে দুষ্কর। তবে আমরা কিছু সরবরাহ করছি।”
দুর্বল হলেও হাতিটি নিস্তেজ এখনও হয়ে পড়ছে না। যদি নিস্তেজ হয়ে পড়ে, সে ক্ষেত্রে দ্রুত তাকে সরানোর প্রস্তুতিও আছে বলে জানান সৈয়দ হোসেন।
তিনি বলেন, নিয়মিতই ১৭ সদস্যের একটি দল হাতিটিকে পর্যবেক্ষণ করছে।
“আমরা হাতিটির খোঁজখবর রাখছি। অন্তত দেড়শ’ গজ কাছাকাছি গিয়ে তাকে মনিটরিং করেছি।”
আসাম থেকে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল হাতিটি নিতে আসবে।
“কয়েকদিনের মধ্যে ভারতীয় প্রতিনিধি আসবে। আরও অন্তত ৩-৫ দিন ভালো থাকতে পারে হাতিটি। তাদের লোক পেলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করে নেব,” বলেন সৈয়দ হোসেন।
বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক অসিত রঞ্জন পাল জানান, আসামের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলটি ৩ অগাস্ট বাংলাদেশে আসবে বলে নিশ্চিত করেছে।
প্রতিনিধি দলে আসামের হাতি বিশেষজ্ঞ ও বন কর্মকর্তা রিতেশ ভট্টচার্য, কৌশিক বাড়ই ও এ এস তালুকদার রয়েছেন।
গত ২৬ জুন এই বুনো হাতিটি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার আন্তর্জাতিক মেইন পিলার নম্বর ১০৫২-এর কাছ দিয়ে বানের জলে ভেসে বাংলাদেশে আসে।
এরপর কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ হয়ে জামালপুরে ফিরে এখন নান্দাই চরে রয়েছে হাতিটি।