বানের জলে ভারত থেকে দেশে ভেসে আসার এক পাস পূর্ণ হলেও উদ্ধার করা যায়নি সেই বুনো হাতি।
Published : 26 Jul 2016, 10:02 PM
হাতিটি সিরাজগঞ্জের একটি চরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বন অধিদপ্তর।
এদিকে আসাম বন অধিদপ্তরের তিন জনের একটি প্রতিনিধিদল হাতিটি উদ্ধারে বাংলাদেশে আসবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় হাই কমিশন।
এরই মধ্যেই মঙ্গলবার বাংলাদেশের বন সংরক্ষক (বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল) অসিত রঞ্জন পালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিরাজগঞ্জে গিয়ে হাতিটি দেখে এসেছেন।
জানতে চাইলে বনরক্ষক অসিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি লোকজন নিয়ে হাতিটি দেখে এলাম। চারদিকে বন্যার পানি। এ অবস্থায় হাতিটিও লোকালয়ে ঘুরাফেরা করছে। সে ভালো অবস্থায় রয়েছে; আগের মতো রয়েছে। কোথাও কারো ক্ষতিও করছে না।”
তিনি জানান, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি, সাধারণ এলাকাবাসীর সঙ্গে হাতিকে বিরক্ত না করার বিষয়ে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
“মাস ধরে হাতিটিকে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, আমাদের লোকজনও রয়েছে। তাকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেলা যাবে না।”
গত ২৬ জুন এই বুনো হাতিটি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার আন্তর্জাতিক মেইন পিলার নম্বর ১০৫২-এর কাছ দিয়ে বানের জলে ভেসে বাংলাদেশে আসে।
ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের আসাম রাজ্যের শিশুমারা পাহাড়ি এলাকা থেকে এই হাতি বাংলাদেশে এসেছে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া হয়ে তিন দিন ধরে সিরাজগঞ্জের চরে হাতিটি রয়েছে।
বন্যপ্রাণী অঞ্চলের উপ বন সংরক্ষক সাহাব উদ্দিন জানান, হাতিটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।
“সোমবার ভারতের হাই কমিশনের মাধ্যমে আসামের তিন জন প্রতিনিধি দেশে আসার বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ দলে আসাম বন অধিদপ্তরের একজন উপ বনসংরক্ষক, একজন প্রাণী বিশেষজ্ঞ (বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক) ও একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রয়েছেন।”
ভিসা ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত কার্যাদি শেষ করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রতিনিধি দল দেশে পৌঁছুলে যৌথভাবে বৈঠক করে উদ্ধার কার্যক্রম নেওয়া হবে বলে জানান সাহাব উদ্দিন।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময়ে ধরে সিরাজগঞ্জসহ দেশের অন্তত এক ডজন জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে। তবুও হাতির জীবনমান নিয়েও শঙ্কা করছেন না বন অধিদপ্তর।
উপ বন সংরক্ষক সাহাব উদ্দিন জানান, যেহেতু বানের জলেই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে হাতিটি, সেহেতু তার সাধারণ চলাচল ও খাওয়া দাওয়ায় তেমন অসুবিধা হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তার শরীরের অবস্থা দেখভালেও চিকিৎসক, গতিবিধি অনুসরণে মাহুতসহ অধিদপ্তরের একটি দল কাজ করছে।