সিলেটের কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 24 Aug 2015, 01:54 PM
সিলেটের প্রথম মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক শাহেদুল করিম সোমবার মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এই আদেশ দেন বলে জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানান।
পলাতক তিন আসামি হলেন- সদর উপজেলার শেখপাড়ার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ ও একই গ্রামের পাভেল আহমদ।
রাজনকে হত্যার পরদিন কামরুল সৌদি আরবে পালিয়ে যান। পরে সেখানে তিনি ধরা পড়েন। বর্তমানে সেখানে তিনি পুলিশ হেফাজতে আছেন।
আগামী ৩১ অগাস্ট মামলার পরবর্তী দিন রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মিসবাহ।
আদালতে বাদীপক্ষে পিপি মিসবাহ ছাড়াও রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী শওকত চৌধুরী শুনানিতে অংশ নেন।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে খুঁটিতে বেঁধে ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরাই নির্যাতনের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলে সারাদেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
ঘটনার তদন্ত শেষে গত ১৬ অগাস্ট ১৩ জনকে আসামি করে এ আদালতে অভিযোগপত্র দেন রাজন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার।
অন্য আসামিরা হলেন- কামরুলের ভাই আলী হায়দার, মুহিত আলম, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, দুলাল আহমদ, নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।
হত্যাকাণ্ডের পর মুহিত আলমের স্ত্রী লিপি বেগম ও শ্যালক ইসমাইল হোসেন আবলুছকে গ্রেপ্তার করা হলেও অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।