সিলেটে ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ১৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা হয়েছে আদালতে।
Published : 16 Aug 2015, 06:33 PM
দেশজুড়ে আলোচিত এই ঘটনার দেড় মাসের মধ্যে পুলিশ তদন্ত শেষ করল। এই তদন্ত নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত শিশুটির বাবা আজিজুর রহমান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার রোববার সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে কামরুলকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।”
গত ৮ জুলাই ঘটনার পর সৌদি আরব পালিয়ে যাওয়ার পর সেখানে প্রবাসীদের সহায়তায় তাকে ধরেন বাংলাদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তারা। তিনি এখন সে দেশে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
কামরুলের তিন ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহমেদকেও অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে শামীম পলাতক।
অন্য আসামিরা হলেন- ময়না মিয়া ওরফে ময়না চৌকিদার, দুলাল মিয়া, রুহুল আমিন, তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল, নূর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আজমত উল্লাহ, পাভেল আহমেদ ও আয়াজ আলী। এর মধ্যে পাভেল পলাতক।
হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মুহিতের স্ত্রী লিপি বেগম ও শ্যালক ইসমাইল হোসেন আবলুছকে। তবে অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি জানিয়ে তাদের অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্র দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রাজনের বাবা আজিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ তদন্ত করে যে চার্জশিট দিয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট।”
তবে কামরুলকে ফেরানোর জোর তৎপরতা চালানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “তাকে বিদেশে থেকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হলে আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে।”
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে শিশু রাজনকে পেটানোয় কামরুলই বেশি সক্রিয় ছিল বলে ওই ঘটনার ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়।
নির্যাতনকারীরাই ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছিল, যা দেখে সারাদেশে নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়।
কামরুলের পালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতার অভিযোগও ওঠে। অভিযোগ ওঠে রাজনের বাবাকে হয়রানিরও।
ওই ঘটনার তদন্ত শেষে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। প্রত্যাহার করা হয় জালালাবাদ থানার ওসিকেও।