জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়।
Published : 14 Jan 2025, 11:35 PM
রাষ্ট্র সংস্কারে কী কী সুপারিশ আসছে সেই আলোচনার মধ্যে চার খাতের সংস্কারে গঠিত কমিশন তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে; যা প্রধান উপদেষ্টার কাছে বুধবার জমা পড়ার কথা রয়েছে।
তবে প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি কমিশনের মধ্যে আরেকটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপনে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়।
অপরদিকে পুলিশ সংস্কার, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার ও সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধানরা বুধবার তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এসব কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার মেয়াদ এর আগে এক দফা বাড়িয়ে ১৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্রথম ধাপে গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।
নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছিল ৩ অক্টোবর। এই পাঁচ কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ৯০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। সে হিসেবে ২ জানুয়ারির মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার কথা ছিল।
আর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছিল ৬ অক্টোবর। ৫ জানুয়ারির মধ্যে এ কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।
এরপর গত ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে গঠন করা হয় গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম, নারী বিষয়ক ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। প্রতিবেদন দিতে সেগুলো ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় পাচ্ছে।
প্রথম দফায় ছয় কমিশন গঠনের পর গত ৪ নভেম্বর সেগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
এ ছয় কমিশন ওয়েবসাইট খুলে মতামত সংগ্রহ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, মতবিনিময়, জরিপ ও লিখিতভাবে মতামত সংগ্রহ করেছে। সুপারিশমালা প্রস্তুতে এসব প্রস্তাব ও মতামত পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে কী সুপারিশ থাকছে?
ক্ষমতার ভারসাম্য, বিকেন্দ্রীকরণ এবং আর যা থাকছে সংবিধান সংস্কার