“আমার মক্কেল কথা বলতে পারেন না। কারাগারে খাবার খেতে পারেন না। কাউকে কোনো কিছু বোঝাতে পারেন না। এই অভিমানে রেগে গেছিলেন,” বলেন তার আইনজীবী।
Published : 09 Apr 2025, 12:43 PM
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সাজেদুর রহমান ওমর নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে।
ঢাকার মহানগর হাকিম জি এম ফারহান ইশতিয়াক বুধবার শুনানি শেষে হাজী সেলিমকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে শুনানির জন্য লালবাগের সাবেক এই এমপিকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। আওয়ামী সরকারের সাবেক কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপিকেও এদিন আদালতে হাজির করা হয়।
শুনানিকালে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা হাজী সেলিমের ওকালত নামায় স্বাক্ষর নিতে যান আইনজীবী। এসময় তিনি মেজাজ হারান এবং ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে বুঝিয়ে শুনিয়ে তার স্বাক্ষর নেন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে।
এ বিষয়ে হাজী সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ বলেন, “আমার মক্কেল কথা বলতে পারেন না। কারাগারে খাবার খেতে পারেন না। কাউকে কোনো কিছু বোঝাতে পারেন না। এই অভিমানে রেগে গেছিলেন।
“এজন্য তিনি ওকালত নামায় স্বাক্ষর করতে চাচ্ছিলেন না। কিছুক্ষণ বোঝানোর পর স্বাক্ষর করেছেন। তাকে বলেছি, সিস্টেমের বাইরে তো কিছু করতে পারব না।”
তিনি বলেন, “আমার মক্কেলকে ১৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এখনো ১০ দিনের রিমান্ড পেন্ডিং রয়েছে।”
যাত্রাবাড়ীর এ মামলার বিবরণে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে যাত্রাবাড়ী ফুটব্রিজের নিচে ছাত্রজনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। বিকেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ অগাস্ট মারা যান। এ ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রাতে পুরান ঢাকার বংশাল এলাকা থেকে হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।