শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে চাঁদপুরে।
Published : 05 Oct 2024, 12:57 PM
আশ্বিনের শেষভাগে এসে যে বৃষ্টিস্নাত দিন দেখছে বাংলাদেশ তা আরও সপ্তাহখানেক চলতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর শনিবার ভারি বৃষ্টির ঈঙ্গিত আছে ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে।
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় আগের মতোই অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সারাদেশেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বিকেলের দিক থেকেই ঢাকায় বৃষ্টিপাত কমবে। কাল থেকে সারাদেশে বৃষ্টিপাত কমতে পারে।
“তবে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে কয়েকদিনের মতো ভারি না হলেও এ মাসের ১২ তারিখ পর্যন্তই সারাদেশে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হবে। এরপর বৃষ্টিপাত কমতে পারে।”
ভারি বৃষ্টির সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা আছে বলে সতর্ক করা হয়েছে ওই বার্তায়।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হলে তাকে বলা হয় অতিভারি বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশ-ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে।
শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে চাঁদপুরে। এছাড়া টাংগাইলে ১৭৮, মাদারীপুরে ১৬২, নেত্রকোণায় ১৬০, ময়মনসিংহে ১১২, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১৩৮, সিলেটে ১০৯ এবং ঢাকায় ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।