মিরপুরে রোডের ভবনে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানতে আরো তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন ডিএমপি কমিশনার।
Published : 05 Mar 2023, 03:56 PM
ঢাকার মিরপুর রোডে সুকন্যা টাওয়ারের কাছে একটি তিনতলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাকে প্রাথমিকভবে ‘দুর্ঘটনা’ বলে মনে করছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রোববার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আপাতত মনে হচ্ছে এটি একটি দুর্ঘটনা। বম ডিসপোজাল টিম এখনো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।”
তবে অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা খুঁজে দেখতে আরো তদন্ত প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন ঢাকার পুলিশ প্রধান।
ঘটনাস্থলে ‘বোমা সদৃশ বা স্প্লিন্টার জাতীয়’ কিছু ছিল কিনা- জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “স্প্লিন্টার বা ওই জাতীয় কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।”
রোববার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটের দিকে শিরিন ভবন নামের তিনতলা ভবনটিতে বিকট বিস্ফোরণ হলে আশেপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে।
ভবনটির তৃতীয় তলার দেয়ালের একপাশ ধসে পড়ে। বিস্ফোরণে অফিসের চেয়ার, দরজার শাটার ও আসবাবপত্রের কিছু অংশ সড়কে ছিটকে পড়ে। এমনকি ঘটনাস্থল থেকে ৪০০ মিটার দূরে সায়েন্স ল্যাব এলাকার একটি অফিসের গ্লাস ভাঙারও খবর পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।
বিস্ফোরণের কারণ জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে পুলিশের নিউ মার্কেট জোনের অতিরিক্ত কমিশনার শাহেন শাহ বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের তৃতীয় তলায় এসিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে।”
পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, বিস্ফোরণের পর ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর পূর্বপাশে একটি আবাসিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিস্ফোরণের কারণ জানতে চাইলে তিনিও ‘এসির বিস্ফোরণকে’ প্রাথমিক কারণ বলে মনে করার কথা জানান। তবে সম্ভাব্য অন্যান্য বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান মহিদ উদ্দিন।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচতলায় কাপড়ের দোকানপাট, দ্বিতীয় তলায় সেলুন ও লন্ড্রির দোকান এবং যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে সেই তৃতীয় তলায় ফিনিক্স ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের অফিস।
বিস্ফোরণে পর আহত ৩০ থেকে ৪০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে নেওয়া হয় কাছের পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নিহত তিনজন ওই ভবনের তৃতীয় তলায় লায়রা প্রোডাক্টসে কাজ করতেন। তারা হলেন শরীয়তপুরের শফিকুজ্জামান (৪৫), ঢাকার লালবাগের আব্দুল মান্নান (৬৫) এবং নরসিংদীর তুষার (৩৫)।
“তারা সবাই লায়রা প্রোডাক্টসে কাজ করতেন। শফিকুজ্জামান ও তুষার সেখানে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। আব্দুল মান্নান ছিলেন পিয়ন। লায়রা'র এরিয়া ম্যানেজার শাহিনুর রহমানের সাথে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয় স্বজনকে অবহিত করা হয়েছে তারা আসছেন।”
আরও পড়ুন-