দুই দশক বিদেশে পালিয়ে থেকে দেশে ফিরে গ্রেপ্তার হন তিনি।
Published : 05 Sep 2022, 12:28 AM
দুই দশক বিদেশে পালিয়ে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে ঢাকার ভাটারা থানার একটি অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটার থানার সাব-ইন্সপেক্টর রিয়াদ আহমেদ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জাকির খানকে হাজির করে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। ঢাকার মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কমকতা এস আই রণপ কুমার ভক্ত এ তথ্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান। তিনি বলেন, “তিনজন আইনজীবী জাকিরের পক্ষে রিমান্ড আবেদন বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। এ সময় জাকিরের পক্ষে শতাধিক সমর্থক আদালত পাড়ায় জড়ো হয়।”
গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে বিদেশি পিস্তলসহ জাকির খানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১ এর একটি দল।
র্যাব জানায়, জাকির খানের বিরুদ্ধে ৪টি হত্যাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে এবং বিভিন্ন সময়ে তিনি এসব মামলায় জেলও খাটেন। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি আরও দুর্ধর্ষ হয়ে ওঠেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকায় বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী ও মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
চার খুনের আসামি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ‘ক্যাডার’ জাকির গ্রেপ্তার
দেওভোগ এলাকার আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত দয়াল মাসুদকে শহরের সোনার বাংলা মার্কেটের পিছনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে জাকিরের বিরুদ্ধে।
২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেএমইএর সহসভাপতি সাব্বির আলম খন্দকার হত্যাকাণ্ডের পরে তিনি দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। সাব্বির বিএনপির সাবেক নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের ভাই।
পলাতক অবস্থায় বিভিন্ন মামলায় জাকির খান দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তার বিরুদ্ধে সাজার রায় দেয়। এরপর গ্রেপ্তার এড়াতে জাকির খান দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন।
জাকিরের বিরুদ্ধে ১৯৯৪ সালে সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমন বিশেষ আইনে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় ১৭ বছরের সাজা হয় তার।
পরে উচ্চ আদালতে তার সাজা কমে ৮ বছর হলেও তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে দেশে-বিদেশে প্রায় ২১ বছর পলাতক ছিলেন। মূলত ২০০৩ সালে সাব্বির আলম হত্যা মামলায় আসামি হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
জাকির খান জানান, তিনি দীর্ঘদিন থাইল্যান্ডে আত্মগোপনে ছিলেন এবং সম্প্রতি ভারত হয়ে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এরপর থেকে তিনি পরিচয় গোপন করে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সপরিবারে বসবাস করছিলেন।