বিলম্বিত এসএসসিতে মনোযোগ ধরে রাখার লড়াই

প্রথমে করোনাভাইরাস, পরে বন্যার কারণে দুই দফায় নির্ধারিত সূচি থেকে সাত মাস পিছিয়ে বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে শুরু হচ্ছে এ পরীক্ষা।

কাজী নাফিয়া রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Sept 2022, 06:43 PM
Updated : 14 Sept 2022, 06:43 PM

তিন মাস বাড়তি সময় পেলেও বন্যায় সবকিছু এলোমেলো হওয়ার আগের প্রস্তুতির মত সন্তুষ্টির রেশ নেই তাদের কণ্ঠে, উল্টো ঘাটতি থেকে যাওয়ার আক্ষেপ উঠে এসেছে বানভাসি এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথায়; আর পরীক্ষার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকা অন্যদের ‘লড়াই’ মনোযোগ ধরে রাখায়।

বৃহস্পতিবার এমন দুই রকম মানসিক অবস্থা নিয়ে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে যাচ্ছেন ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।

প্রথমে করোনাভাইরাস, পরে বন্যার কারণে দুই দফায় নির্ধারিত সূচি থেকে সাত মাস পিছিয়ে বাংলা প্রথম পত্র দিয়ে শুরু হচ্ছে এ পরীক্ষা।

কোভিড মহামারী এমনিতেই তাদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে বড় ধরনের ছন্দপতন ঘটায়। এরপর পরীক্ষার শুরুর দিনক্ষণ জানতে দীর্ঘ অপেক্ষা, আবার শুরুর ঠিক দুই দিন আগে বন্যায় তা স্থগিত ঘোষণা এবং পরে পরীক্ষা হওয়া আর না হওয়া নিয়ে নানা আলোচনা শিক্ষার্থীদের মনঃসংযোগে বারবার বিঘ্নিত করেছে।

এমন প্রেক্ষাপটে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পর্যায়ের বৈতরণী পার হওয়ার এ পরীক্ষা; যা কোভিডে ঠিকঠাক ক্লাস হতে না পারায় নম্বর কমিয়ে পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচিতে নেওয়া হচ্ছে।

আর দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে এবার সকাল ১‌০টার বদলে পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১টায়, শেষ হবে দুপুর ১টায়। দুই ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতিটি বিষয়ে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট এবং রচনামূলক প্রশ্নের জন্য ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় থাকবে।

বৃহস্পতিবার শুরু এ পরীক্ষা শেষ হবে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক মিলে ১৫ অক্টোবর।

পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচিতে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান- এসব বিষয়ের পরীক্ষা না নিয়ে ‘সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের’ মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।

প্রস্তুতি নিয়ে সংগ্রাম বানভাসিদের

মহামারীর কারণে চার মাস পিছিয়ে গত ১৯ জুন চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা দেখা দেওয়ায় শুরুর দুই দিন আগে তা স্থগিত করা হয়।

এর তিন মাস পর পরীক্ষায় বসার আগে বন্যাদুর্গত এলাকার শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, সেই ক্ষতি পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে না পারলেও পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরে তারা 'সন্তুষ্ট'।

আর বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়েননি এমন শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ লম্বা বিরতিতে মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটার কথা বলছেন।

মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন।

৯ সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার্থী: ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন। দাখিল পরীক্ষার্থী: ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন।

ভোকেশনাল শিক্ষার্থী ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ জন।

পরীক্ষা শুরু: ১৫ সেপ্টেম্বর।

পরীক্ষা শেষ: তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক মিলে ১৫ অক্টোবর।

পরীক্ষার সময়: সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা।

সময় বরাদ্দ নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন: ২০ মিনিট।

রচনামূলক প্রশ্ন: ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।

পরীক্ষা হবে না: ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান।

নম্বর: বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ৫০ নম্বরের।

অন্যসব বিষয়ে ব্যবহারিকে নম্বর হবে ৪৫ (রচনামূলক ৩০ ও নৈর্ব্যক্তিক ১৫ নম্বর)

ব্যবহারিক না থাকলে ৫৫ নম্বরের (রচনামূলক ৪০ ও নৈর্ব্যক্তিক ১৫) পরীক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।

মৌলভীবাজারের বড়লেখার দাসের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শতরুপা রাণী দাস বন্যায় বই-খাতা নষ্ট হওয়ার পর আর পরীক্ষা দেওয়ার চিন্তা করতে পারেননি। পরে বই পেয়ে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।

“ওই সময় তো পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিতের সমাধান করা ছিল খাতায়। এখন আগের মত গুছায় ওভাবে পড়তে পারি নাই। স্যার-বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে এগুলা পড়েছি। আশা করছি, পরীক্ষা ভালোই হবে।”

বন্যায় সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের তারেকুল হাসানের বই-খাতা ভেসে গিয়েছিল। এরপর পড়াশুনা চালিয়ে নেওয়া নিয়েই ছিলেন শঙ্কায়।

পরীক্ষা দিতে পারার আনন্দে বন্যার দুর্দশা ভুলতে পারছেন জানিয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, “এতকিছুর পর পরীক্ষা দিতে পারছি, এটাই অনেক বড় বিষয়। শিক্ষকরা সাহায্য করেছেন, বই দিয়েছেন। কিছুটা সময় পেয়ে প্রস্তুতি নিতে পেরেছি, এইটাতেই আমি খুশি।”

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শিক্ষকরা বলছেন, অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণের চেষ্টা তারা করেছেন, এরপরও পরীক্ষায় বন্যার প্রভাব থাকবে।

সিলেটের কানাইঘাটের সড়কের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩২ জন শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন।

বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান জানান, যাদের বই নষ্ট হয়েছে, তাদের নতুন বই পেতে জুলাই চলে গেছে। পরের দেড় মাসে যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়েছে পরীক্ষার্থীরা।

“অনেকে নোট করে পড়ত। অঙ্কের সমাধান, এগুলো নতুন করে শিখতে হয়েছে। তবে তাদের আগ্রহ ছিল অনেক বেশি। আশা করছি, তারা ক্ষতি কাটিয়ে ভালো ফলাফল করবে,“ যোগ করেন তিনি।

বন্যায় ঘরবাড়ি ভেঙে গেলে সবকিছু হারিয়ে অনেক পরীক্ষার্থী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল জানিয়ে এই শিক্ষক বলেন, “মাথা গুজার ঠাঁইই ছিল না, কী খেয়ে বাঁচবে সেটাই অনিশ্চিত ছিল। ঘরবাড়ি মেরামতে ব্যস্ত ছিল। আমরা অনেকের সাথে যোগাযোগ করেছি। বাচ্চারাও আমাদের বলেছে, তাদের সমস্যার কথা।”

মৌলভীবাজারের দাসের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২০ জন পরীক্ষার্থীর অনেকেরই বইখাতা নষ্ট হয়েছে। নতুন বই আসার পর অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে পরীক্ষার্থীদের ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস।

“যেসব বিষয়ে সমস্যা ছিল, শিক্ষার্থীরা যখন আসবে তখনই সেটি সমাধান করে দিতে শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তারা সেটি করেছেন, বাচ্চারাও পড়েছে। বন্যার কারণে ক্ষতি হয়েছে, তারপরও এখন ওরা পরীক্ষা দিতে পারছে, এটাই বড় বিষয়।”

ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও খারাপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রাস্তাঘাট, ব্রিজ যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেগুলো পুরোপুরি মেরামত হয়নি। পরীক্ষার্থীদের কিছুটা কষ্ট করে কেন্দ্রে আসতে হবে।”

তাদের শিক্ষালয়ের সবাই পরীক্ষা দিতে পারছে, এতেই সন্তুষ্ট সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের সোনাপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “হঠাৎ বন্যায় পরীক্ষার্থীদের জীবনই ছিল ঝুঁকিতে। বই-খাতা-কলম সব ভেসে গেছে। নতুন বইয়ে তাদের আবার পড়া শুরু করতে হয়েছে।

“যে যেখানে সমস্যার কথা বলেছে, আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। আগে যেমন প্রস্তুতি ছিল, তেমনটা তো সম্ভব না। কিন্তু ওরা পরীক্ষায় বসতে পারছে, এতেই আমরা খুশি।”

মনোযোগে ঘাটতি

যারা বন্যার কবলে পড়েননি তাদের সমস্যা আবার ভিন্ন রকম। সব প্রস্তুতি শেষ করেও দুর্যোগের কারণে পরীক্ষা বসতে না পারার আক্ষেপ তাদের মধ্যে।

ঢাকার শহীদ বীর-উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজের পরীক্ষার্থী মুহাইমিনা ইসলাম মুহু শুরুর দুই দিন আগে পরীক্ষা স্থগিতের খবর যেন মানতেই পারেননি।

“পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে আমার। চিন্তাও করি নাই পরীক্ষা হবে না, একদম শকড হয়ে গেছিলাম। পরীক্ষা যে আবার হবে, এটাও ভাবি নাই। দেড় মাস কোনো পড়াশুনা করতে পারি নাই। পড়তে বসলে ফোকাস আসত না।

“পরীক্ষা যে হবে, সেটাও অনেক পরে জানানো হয়েছে। সে কারণেই আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম। অনেক কষ্টে রিভিশন দিয়েছি। তখন পরীক্ষা হলে এমনটা হত না।”

মুহুর মা চিকিৎসক নাহিদ ফারহানা চৌধুরী জানান, পরীক্ষার স্থগিতের খবরে তার মেয়ে মানসিকভাবে হচকচিয়ে যায়।

 “এমনিতেই করোনাভাইরাসে ওদের ক্ষতি হয়েছে। টোটাল সাত মাস পিছিয়ে গেল পরীক্ষা। এইচএসসিতে তো ওরা কম সময় পাবে। সেই টেনশনটা বেশি কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “পরীক্ষার ঘোষণাটাও এসেছে প্রায় দেড় মাস পরে। এতে বাচ্চাদের মন নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক বুঝিয়ে ওকে পড়তে বসিয়েছি। এখন আবার বৃষ্টি হচ্ছে। আবার পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে এই টেনশনই ওর মধ্যে কাজ করছে।”

মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ফারিহা রহমানও পরীক্ষা স্থগিতের পর পড়ায় আগের মত মনোযোগ দিতে পারেনি।

“প্রিপারেশন তো ছিল, কিন্তু প্র্যাকটিস না থাকলে তো হয় না। বন্ধুরা বলছিল, অটোপাস দিয়ে দিবে। রুটিন পাওয়ার পর থেকে পড়তে বসেছি। ওভাবে পড়া হয়নি। গত একমাস পড়েছি, দেখা যাক কি হয়।”

মিরপুরের লিটল ফ্লাওয়ারস প্রিপারেটরি স্কুলের পরীক্ষার্থী শাহরিয়ার ইমন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলেও সমাজ, ধর্ম ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষা না হওয়া নিয়ে চিন্তিত।

“এই তিনটা সাবজেক্টের পরীক্ষা হবে না। জেএসসিতে বাংলা আর ধর্মে ‘এ’ পেয়েছিলাম। সেই টেনশন হচ্ছে বেশি। কারণ ওই নম্বরটাই তো দেওয়া হবে, এটা না হলে খুব ভালো হত। অনেকে তো জেএসসিতে খারাপ করে, আবার এসএসসিতে ভালো করে।”

পরীক্ষা পেছানোয় এইচএসসিতে সময় কম পাওয়া যাবে, এই চিন্তাও কাজ করছে এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

“পরীক্ষা পেছানোয় কিছুটা ক্ষতি তো হয়েছেই। কিন্তু বন্যার কারণে এছাড়া তো উপায়ও ছিল না। তবে পরীক্ষার তারিখটা আরও আগে জানিয়ে দিলে ভালো হত।”

ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল ও কলেজের পরীক্ষার্থী মিনহাজ তালুকদারের মা শাহনাজ পরভীন বলেন, “বাচ্চাদের আগ্রহটা নষ্ট হয়ে গেছে। পড়তে বসলেও মনোযোগ দিতে পারেনি। পরীক্ষা হবে কি না এটাই অনিশ্চিত ছিল। তারপরও বলে-কয়ে পড়তে বসিয়েছি।

ডেঙ্গু বাড়তে থাকায় উদ্বেগ জানিয়ে এই অভিভাবক বলেন, “ভয় কাজ করছে। যদি পরীক্ষার মাঝে কোনভাবে আক্রান্ত হয়, তাহলে পরীক্ষা দিতে পারবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে যেন মশার উৎপাত না থাকে, সেদিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।”

পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি।

  • পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

  • নন-প্রোগ্রামেবল সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

  • কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

  আরও পড়ুন

Also Read: এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ

Also Read: এসএসসি: প্রশ্ন ফাঁসের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান

Also Read: এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ

Also Read: পরীক্ষার কী হবে, স্কুল খুলবে কবে, উত্তর পাচ্ছে না হাওরের শিক্ষার্থীরা

Also Read: বন্যায় স্থগিত এসএসসি পরীক্ষা

Also Read: মহামারী পেরিয়ে বিলম্বিত পরীক্ষায় মাধ্যমিকের সোয়া ২২ লাখ শিক্ষার্থী