সহিংসতায় জড়িতদের ‘জবাবদিহিতার’ আওতায় আনারও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
Published : 19 Jan 2024, 10:08 AM
বাংলাদেশে ভোটের আগে-পরে বিভিন্ন সহিংস ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ‘বিশ্বাসযোগ্যতা এবং স্বচ্ছতার’ মাধ্যমে এসব ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সহিংসতায় জড়িতদের ‘জবাবদিহিতার’ আওতায় আনারও আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
এছাড়া বিরোধীদলের ‘হাজার হাজার’ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেও আবারও মন্তব্য করেন।
বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মধ্যে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২৩টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে পেছনে ফেলে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন; যারা সবাই আওয়ামী লীগেরই নেতা। আর জাতীয় পার্টির আসন কমে অর্ধেকের চেয়ে বেশি কমে নেমেছে ১১টিতে। আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি এবং কল্যাণ পার্টি একটি করে আসন পেয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে নানা সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ভোটের দিন ও ভোটের পরেও সহিংসতার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
ভোটের পরদিন এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।
ওই বিবৃতিতেও সহিংসতা ও বিরোধী দলের হাজারো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবারের ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে প্রথম প্রশ্ন ছিল- বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অবক্ষয় এবং বিরোধী দলের হাজারো নেতাকর্মীকে কারাগারে আটক রাখার মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেবে? আপনি এর আগে বিবৃতিতে বলেছিলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।
জবাবে মিলার বলেন, “আমরা বিরোধী দলের হাজারো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনায় এখনো উদ্বিগ্ন। আমরা অন্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে জেনেছি, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। সব দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আমরা হতাশ এবং নির্বাচনের সময় এবং আগের মাসগুলোতে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানাই।”
সহিংসতার ঘটনাগুলোর তদন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে করার আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, “আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সহিংস ঘটনারগুলোর বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্ত, জড়িতদের জবাবদিহিতায় আনতে এবং সব পক্ষকে রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানাই।”
আরেক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল- যুক্তরাষ্ট্র বলেছে বাংলাদেশে নির্বাচনের ফলাফল বিশাসযোগ্য, অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল না, তার মানে কি শেখ হাসিনার টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসাকে স্বীকৃতি দেবে না যুক্তরাষ্ট্র?
জবাবে মিলার বলেন, “না, না।”