“অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি এবং সব দল এতে অংশ না নেওয়ায় আমরা হতাশ”, বলছে যুক্তরাষ্ট্র।
Published : 09 Jan 2024, 10:21 AM
বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ ও গণতন্ত্রের প্রতি তাদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। যুক্তরাষ্ট্র দেখেছে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বেশিরভাগ আসনেই জয়লাভ করেছে।
“যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাজারো সদস্যদের গ্রেপ্তার ও নির্বাচনের অনিয়মের খবরে উদ্বিগ্ন। অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র একমত যে, এই নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি এবং সব দল এতে অংশ না নেওয়ায় আমরা হতাশ।”
নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন ঘিরে আগের মাসগুলোতে সহিংসতার ঘটনায় নিন্দাও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব ঘটনার নির্ভরযোগ্য তদন্ত করে দোষীদের জবাবদিহীতার আওতায় আনার আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি।
ম্যাথু মিলারের বিবৃতিতে বলা হয়, “সব দলকে আমরা সহিংসতা পরিহার করার আহ্বান জানাই।”
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, “বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজের প্রতি অব্যাহত সমর্থন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বন্ধন আরও গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে একটি অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের এ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে পেছনে ফেলে স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ৬২ জন; যারা সবাই আওয়ামী লীগেরই নেতা। আর জাতীয় পার্টির আসন কমে অর্ধেকের চেয়ে বেশি কমে নেমেছে ১১টিতে। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে নানা সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ভোটের দিন ও ভোটের পরেও সহিংসতার খবর এসেছে।
এর আগে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সাত মাস আগে গত বছরের ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে ওয়াশিংটন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার তাগিদ দিয়ে আসছিল তারা।