স্বামী, স্ত্রী ও এক ছেলের মৃত্যুর পর এ পরিবারের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কন্যাও ঢাকায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি।
Published : 01 Apr 2024, 08:58 PM
ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে ঘরে ‘জমে থাকা গ্যাসের’ আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের চারজনের মধ্যে তিনজনই মারা গেছেন।
সোমবার ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সুফিয়া বেগম (৪৮), তার স্বামী নুরুল ইসলাম (৬৩) এবং এ দম্পতির একমাত্র কলেজ পড়ুয়া সন্তান আল হাদী সোহাগের (১৯) মৃত্যু হয়।
ওই আগুনে দগ্ধ এ দম্পতির কন্যা গণবিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সাথী আক্তার মৌ (২৩) আশংকামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম।
রোববার রাত সাড়ে ১১টায় সুফিয়া, সোমবার ভোর পৌনে ৪টায় নুরুল ইসলাম এবং বাবার মুত্যুর ৮ ঘণ্টা পর বেলা পৌনে ১২টায় মারা যান আল হাদী সোহাগ।
এদের মৃত্যুর খবর দিয়ে ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, এদের দুইজন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
তিনি বলেন, দগ্ধদের মধ্যে নুরুলের ৪৮ শতাংশ, সোহাগের ৩৮ শতাংশ (মুখমণ্ডলসহ), সুফিয়ার ৮০ শতাংশ (মুখমণ্ডলসহ) এবং সাথীর ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়।
বুধবার গভীর রাতে ধামরাই পৌরসভার মোকামটোলা এলাকায় প্রবাসী ইব্রাহীম মিয়ার ভাড়া বাসায় 'জমে থাকা গ্যাস' থেকে আগুন লাগলে পরিবারের চারজনই দগ্ধ হন। তাদের বাড়ি ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের উত্তরপাড়া এলাকায়।
ধামরাইয়ে ‘জমে থাকা গ্যাস’ থেকে ঘরে আগুনে দগ্ধ ৪
ধামরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনার পরপরই সেখানে গিয়ে দগ্ধদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠান।
সেসময়ের পরিস্থিতি তুলে ধরে ওই স্টেশনের ইনচার্জ সোহেল রানা বলেছিলেন, “রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চারতলা ভবনের নিচতলায় বিকট শব্দ হয়ে আগুন লাগে। এতে ঘরের মালামাল পুড়ে যাওয়ার পাশপাশি জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।”
বাড়িটিতে লাইনের গ্যাসের পাশাপাশি সিলিন্ডার গ্যাসও ছিল। কিন্তু সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়নি বলে জানান তিনি। ঘরের পরিস্থিতি থেকে তাদের ধারণা, ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে আগুন ধরে যায়।