ঢাকায় ৯ তলা থেকে পড়ে হাসপাতালে গৃহকর্মী

আহত অবস্থায় ওই তরুণী পুলিশের কাছে গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন।

রূপনগর থানা

ঢাকার রূপনগরে তরুণী গৃহকর্মী নয় তলার ছাদ থেকে ‘পড়ে গিয়ে’ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন; যিনি গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

শুক্রবার সকালে এত উপর থেকে পড়ে ‘অলৌকিকভাবে’ বেঁচে যাওয়া ১৮ বছর বয়সী এ গৃহকর্মীর হাত ভেঙেছে এবং কোমরে আঘাত পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রূপনগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।

রূপনগরের আরামবাগ এলাকায় একটি নয়তলা ভবনের ছাদের একটি বাসায় কাজ করতেন ওই তরুণী।

রূপনগর থানার ওসি সাইফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আহত তামান্না আমাদের বলেছেন ওই বাসার গৃহকর্ত্রী তাকে নয় তলা থেকে ঠেলা মেরে নিচে ফেলে দিয়েছেন।“

তিনি জানান, গৃহকর্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলেও গেছে।

প্রাথমিক তদন্তের কী তথ্য পাওয়া গেছে জানতে চাইলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, যেহেতু ভুক্তভোগী অভিযোগ দিচ্ছেন। সেটির ভিত্তিতে তদন্ত হবে। তামান্নার স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে যে অভিযোগ দেবেন- সেভাবেই এগোবে পুলিশ।

ওই বাসার গৃহকর্তা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবী সৈয়দ আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঘটনার সময় তারা ঘুমিয়ে ছিলেন। ভবনের নিরাপত্তা প্রহরীর ফোনে তারা বিষয়টি জানতে পারেন। ফোন পেয়ে দ্রুত নিচে গিয়ে তারা গৃহকর্মী তামান্নাকে পড়ে থাকতে দেখেন।

আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে প্রথমে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু) নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

আখতারুজ্জামানের দাবি, তাদের বাসায় তামান্নার চাচাতো বোন কুলসুম সাত-আট বছর ধরে কাজ করে আসছেন। তার মাধ্যমেই চার মাস আগে তামান্না তাদের বাসায় কাজ করতে শুরু করেন।

তিনি জানান, তামান্নার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে। তার বাবা তাকে বিয়ে দিয়েছিল কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া ঢাকায় চলে আসেন।

গৃহকর্মীর অভিযোগ প্রসঙ্গে আখতারুজ্জামানের দাবি, পাশের একটি ভবন থেকেকয়েকজন তামান্নাকে লাফ দিতে নিষেধ করার পরও তিনি লাফ দেন।

বাসায় তার স্ত্রী ছাড়াও নয় ও ছয় বছরের দুই ছেলে রয়েছে।