সুমনের দাবি, ছিনতাইকারীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে। আর পুলিশের ভাষ্য, সুমন ‘অপরাধ চক্রের’ সদস্য; নিজেদের মধ্যে কোন্দলে তার ওপর হামলা হয়েছে।
Published : 30 Jan 2025, 11:08 PM
রাজধানীর আদাবরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক তরুণের কব্জি হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে সুমন শেখ (২৬) নামের ওই তরুণকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সুমনের ভাষ্য, ছিনতাইকারীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে। আর পুলিশের দাবি, সুমন একটি ‘অপরাধ চক্রের’ সদস্য; নিজেদের মধ্যে কোন্দলে তার ওপর হামলা হয়েছে।
সুমনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন লিটন মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি সংবাদকর্মীদের বলেন, সুমন আহত হয়ে বালুর মাঠ এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। পরে তিনিসহ কয়েকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তাকে প্রথমে নেওয়া হয় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
আহত সুমনের বাড়ি পিরোজপুর সদরে। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা (মৃত) শাহাদাৎ শেখ। সুমন মিরপুর ১ নম্বর এলাকায় থাকেন।
আহত সুমন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। ছিনতাইকারীরা কুপিয়ে তার হাত বিচ্ছিন্ন করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে।
সুমন বলেন, তিনি ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে আদাবর ১০ নম্বর রোড বালুর মাঠ এলাকায় তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হন।
তার ভাষ্য, “বুধবার রাতে আদাবর ১০ নম্বর রোডে তিনি ফুফু শাশুড়ির বাড়ি বেড়াতে আসেন। সেখানে তার জমানো ১৫ হাজার টাকা ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই টাকা যাওয়ার সময় আদাবর বালুর মাঠ এলাকায় ৪-৫ জন ছিনতাইকারী পথ আটকায়।
“তারা পকেটে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে চাইলে বাধা দিলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ছুটে দৌড় দিলে পেছন থেকে ছিনতাইকারীরা ধারালো চাপাতি দিয়ে কোপ দিলে বাম হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ছিনতাইকারীরা টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।”
আদাবর থানার ওসি এস এম জাকারিয়া বলছেন, “এটি ছিনতাই নয়, তাদের আন্তঃগ্রুপের দ্বন্দ্ব।
“সুমন শেখ স্থানীয় ‘আনার গ্রুপ’ নামে একটি অপরাধচক্রের সদস্য; তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলাও আছে। বৃহস্পতিবার বিকালে নিজেদের মধ্যে মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে গ্রুপের অন্য সদস্যরা তাকে কুপিয়ে কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।”