একাত্তরে যুদ্ধপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৩ সালে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া আলবদর নেতা মুঈনদ্দীন ১৯৭৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে আছেন।
Published : 21 Jun 2024, 10:09 PM
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেলেন একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে থাকা আলবদর নেতা চৌধুরী মুঈনুদ্দীন।
৬০ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ চেয়ে চার বছর আগে ওই মামলা দায়ের করেছিলেন মুঈনুদ্দীন। কিন্তু দেশটির হাই কোর্ট সেই মামলা বাতিল করে দিয়েছিল। এখন মুঈনুদ্দীনের আপিল গ্রহণ করে হাই কোর্টের সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট (প্রধান বিচারপতি) লর্ড রিড বৃহস্পতিবার সর্বসম্মত এক রায়ে বলেন, ‘আদালতের কার্যপ্রণালির অপব্যবহারের’ কারণ দেখিয়ে মুঈনুদ্দীনের করা মামলা খারিজ করে নিম্ন আদালতের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মুঈনুদ্দীন যে অভিযোগ নিয়ে আদালতে এসেছেন, তার বিচার চলবে।
রায়ের অনুলিপি যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে মামলার পূর্বাপর বর্ণনা রয়েছে।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৩ সালে মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এর ছয় বছর পর ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কমিশন ফর কাউন্টারিং এক্সট্রিমিজমের তৈরি ‘চ্যালেঞ্জিং হেইটফুল এক্সট্রিমিজম’ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনের পাদটীকায় বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মুঈনুদ্দীনের দণ্ডিত হওয়া এবং একাত্তরে তার যুদ্ধাপরাধের বিবরণ তুলে ধরা হয়। তার নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবী হত্যার বর্ণনাও সেখানে যুক্ত করা হয়।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটার (বর্তমান এক্স) হ্যান্ডেল থেকে প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশ করা হয়। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল, বিবিসির সাংবাদিক মিশাল হুসেইন, মানবাধিকার কর্মী পিটার ট্যাটচেলসহ অনেকেই তা রিটুইট করেন।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে অনলাইন থেকে প্রতিবেদনটি তুলে নেওয়ার দাবি তুলে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন যুদ্ধাপরাধী মুঈনুদ্দীন। তবে তাতে সাড়া দেয়নি ব্রিটিশ সরকার।
এরপর ২০২০ সালের ১৯ জুন মামলা করেন মুঈনুদ্দীন। ওই প্রতিবেদন প্রকাশ্যে এনে যুক্তরাজ্যের ডেটা সংরক্ষণ নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং তাতে ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষণ্ণ ও মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন একাত্তরের এই আল-বদর নেতা। সেখানে ৬০ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়।
২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানি হয়। সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন আমলে নেওয়া হয়। মুঈনুদ্দীনের নামের সঙ্গে যেসব শব্দ ব্যবহার করা হয়, যেমন যুদ্ধপরাধী, মানবতাবিরোধী অপরাধী; একাত্তরের ঘাতক- তখন সেগুলো বাতিল করতে কোনো আদেশ দেয়নি হাই কোর্ট।
মামলার শুনানিতে প্রীতি প্যাটেলের পক্ষে যুক্তি দেখানো হয়, মুঈনুদ্দীনের অভিযোগে বিচার এগিয়ে নেওয়া হলে তা হবে যুক্তরাজ্যের ‘আদালতের কার্যপ্রণালির অপব্যহার’। সেই যুক্তি আমলে নিয়ে ওই বছরের ১৫ নভেম্বর হাই কোর্ট মামলাটি খারিজ করে দেয়।
মুঈনুদ্দীন তখন যান কোর্ট অব আপিলে। ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সেখানেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায় এবং হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত ও পর্যবেক্ষণ বহাল থাকে।
এর বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন বুদ্ধিজীবী ঘাতক মুঈনুদ্দীন।
ওই বছর ১-২ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়, আট মাসের বেশি সময় পর রায় এল বৃহস্পতিবার।
সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লর্ড রিডের নেতৃত্বে লর্ড সেলস, লর্ড হ্যামব্লেন, লর্ড ব্যুরস ও লর্ড রিচার্ডের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ মামলা শোনে।
মামলায় মুঈনুদ্দীনের পক্ষে ছিলেন ব্রিটিশ আইনজীবী জ্যাকব ডিন, লিলি ওয়াকার-পার ও কার্টার রাক। অন্যদিকে প্রীতি প্যাটেলের পক্ষে রাষ্ট্রের হয়ে লড়েন অ্যান্টনি হাডসন, বেন সিলভার স্টোন ও রোবি স্টার্ন।
‘মুঈনুদ্দীন (বাদী) বনাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (বিবাদী)’ শিরোনামের রায়ের পর্যবেক্ষণে ব্রিটিশ প্রধান বিচারপতি লর্ড রিড বলেন, “যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের চেয়ে গুরুতর অভিযোগ কল্পনা করাও কঠিন এবং বিশেষভাবে যেখানে সরকারই নিজ দেশের নাগরিকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনে, তা তো আরও গুরুত্ব বহন করে।”
লর্ড রিড পর্যবেক্ষণে বলেছেন, “ব্যক্তির নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আদালতে যাওয়ার সুযোগ তার মৌলিক অধিকার। এটি বহু শতাব্দী ধরে সাধারণ আইনে স্বীকৃত, ম্যাগনা কার্টা থেকে ১৯৯৮ সালের মানবাধিকার আইন পর্যন্ত নাগরিকদের এ সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (সাবেক) আদালতে তুলে ধরা যুক্তিতে মঈনুদ্দীনের মামলা খারিজের বিষয়টিকে ‘অনুপযুক্ত সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করে লর্ড রিড রায় পড়ে শোনান। সেখানে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মুঈনুদ্দীনের বিচার ও দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়।
লর্ড রিড রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, বর্তমান মামলার ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর (মুঈনুদ্দীন) অনুপস্থিতিতে (ঢাকায়) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচার করা হয়েছিল। তিনি বাস্তবসম্মতভাবে ট্রায়াল বা পরবর্তী কোনো আপিলে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা যায় না, যেহেতু তিনি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বাস্তব ঝুঁকির মুখে ছিলেন।
বাংলাদেশের আদালতে মুঈনুদ্দীন ‘ন্যায়বিচার পাননি’ বলে যে অভিযোগ করেছেন, তাকে ‘প্রশ্নসাক্ষেপ বিষয়’ হিসেবে বর্ণনা করে লর্ড রিড বলেন, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আদালতে কথা বলা উচিত ছিল।
“স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি বাদীর বিরুদ্ধে তার অভিযোগের সত্যতা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তাহলে দায়মুক্তির সঙ্গেই তিনি তার মানহানি করতে পারেন। তা না হলে বিষয়টি ঝুঁকি তৈরি করে। কারণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি ৫০ বছরেরও বেশি সময় আগেকার বাদীর কর্মকাণ্ড প্রকাশ করেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই বিষয়টি তার চিন্তা করা উচিত ছিল।
“সরকারের আনা অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগের বিরুদ্ধে ভাবমূর্তি ও সুনাম রক্ষার বৈধ অধিকার রয়েছে বাদীর, যিনি এ দেশেই থাকেন এবং এখানকার একজন নাগরিক।”
সিদ্ধান্ত দিয়ে ব্রিটিশ প্রধান বিচারপতি বলেন, “মামলাটি এখন বিচারের জন্য এগিয়ে যাবে।”
পূর্বাপর
২০২০ সালে করা মামলায় যুদ্ধাপরাধী মুঈনুদ্দীন বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং হেইটফুল এক্সট্রিমিজম’ শিরোনামের প্রতিবেদনটির ৮০টি মুদ্রিত অনুলিপি (হার্ড কপি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন জনের হাতে পৌঁছায়।
২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলে সেখান থেকে প্রায় ৫ হাজার বার ডাউনলোড করা হয়। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ৯ লাখ অনুসারীর কাছে পৌঁছায় সেটি।
এ বিষয়ে মামলার পর্যবেক্ষণে হাই কোর্ট বলেছিল, প্রতিবেদনে মুঈনুদ্দীনের কথা এমনভাবে বলা হয়েছে, যে পাঠকরা বুঝতে পেরেছেন তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী এবং যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে ছিলেন।
তখন হাই কোর্টে প্রীতি প্যাটেলের পক্ষে তার আইনজীবীরা যুক্তি দেন, বাংলাদেশে যুদ্ধপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টি ‘অস্বীকার’ করার জন্য যুক্তরাজ্যের আদালতে মানহানির অভিযোগে মামলা করেছেন বাদী। অথচ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার আত্মপক্ষ সমর্থন করার উপযুক্ত সুযোগ ছিল এবং তারপর তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে আপিল করারও সুযোগ ছিল। তিনি কোনোটিই করেননি। এখন ৫০ বছর আগের অভিযোগে দণ্ডিত মুঈনুদ্দীনকে যুক্তরাজ্যের আদালত ব্যবহার করে ‘নির্দোষ’ প্রমাণের চেষ্টা থেকে বিরত রাখতে হবে।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্টারিং এক্সট্রিমিজম কমিশনের ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত প্রতিবেদনটি উন্মুক্ত ছিল। এ সময় মুঈনুদ্দীন মানহানির যে অভিযোগ তুলেছিল, সেটিও প্রত্যাখ্যান করেছিল কমিশন। তবে পরে এই যুদ্ধাপরাধীর বিষয়ে প্রতিবেদনের পাদটীকায় যুক্ত করা সব তথ্য মুছে ফেলা হয়।
যুদ্ধপরাধী মুঈনুদ্দীন ও তার ভাষ্য
সলিসিটরস জার্নাল লিখেছে, মুঈনুদ্দীন ১৯৭৩ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস শুরু করেন এবং ১৯৮৪ সালে দেশটির নাগরিকত্ব পান।
২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয় জামায়াতে ইসলামীর বদরবাহিনীর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে।
জামায়াতে ইসলামী তখনকার সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের পলাতক এ দুই কেন্দ্রীয় নেতার মধ্যে মুঈনুদ্দীন এখন যুক্তরাজ্যে এবং আশরাফুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।
মুঈনুদ্দীন ১৯৭১ সালের ১১ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কীভাবে আলবদর সদস্যদের নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ ও হত্যার পর বধ্যভূমিতে লাশ গুম করেছিলেন, তা ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিস্তারিত বলা রয়েছে।
পলাতক এ দুই বদর নেতা বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াননি। আত্মসমর্পণ না করায় তারা আপিলের সুযোগ হারান। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে এখন পর্যন্ত দণ্ড কার্যকর করা যায়নি।
যুক্তরাজ্য মৃত্যুদণ্ডকে সমর্থন করে না বলে মুঈনুদ্দীন সেখানে বহাল তবিয়তে আছেন। শুধু তাই নয়, তাকে যুদ্ধপরাধী বলায় এখন তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ার সুযোগও পাচ্ছেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত থাকার এবং জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্তততার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন নর্থ লন্ডনে বসবাসকারী চার সন্তানের পিতা মুঈনুদ্দীন।
তার দাবি, তিনি যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন। ১৯৭১ সালের সহিংসতায় জড়িতদের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। এমনকি জামায়াতে ইসলামীর ব্রিটিশ শাখার সঙ্গেও তার কোনো যোগসূত্র নেই বা তিনি কখনও জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাও ছিলেন না।
মুঈনু্দ্দীন ২০০৩ সালে মুসলিম কাউন্সিল অব গ্রেট ব্রিটেন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। ইস্ট লন্ডন মসজিদের ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হয়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবারের রায়ের পর সলিসিটর জার্নালকে মুঈনদ্দীন বলেন, “প্রাথমিক অভিযোগ দায়েরের চার বছর পর আমি আবার নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ পেয়েছি, যা আরও আগেই আমার পাওয়ার কথা ছিল।”
পুরনো খবর
লন্ডনে যুদ্ধাপরাধী চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের আয়েশী জীবন
আশরাফ-মুঈনুদ্দীনকে ফেরত পাঠাতে আহ্বান জয়ের
বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে আশরাফ-মুঈনুদ্দীনের মৃত্যুদণ্ড